নিজেদের উৎপাদিত ফসল তুলেছেন ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে উপলব্ধি করার চেষ্টা করেছেন কৃষকের কষ্ট। শিক্ষার্থীদের এ সুযোগ করে দিয়েছে হৃদয়ে মাটি ও মানুষের ফিরে চল মাটির টানে কার্যক্রম। শিক্ষার্থীরা বলছেন, এমন সুযোগ না হলে কৃষকদের অবদানের কথা এমনভাবে জানা হতো না তাদের।
মুন্সিগঞ্জের বাগেশ্বর গ্রামে গেল বছরের ৩ ডিসেম্বর এমনই এক সকালে গিয়েছিল উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২১ শিক্ষার্থী। সে হিসেবে এবারের পথ পরিচিত তাদের।
নিয়মিত লেখাপড়ার বাইরে গল্প আর আড্ডায় ছুটে চলা। সেই সঙ্গে নিজের হাতে রোপন করা ফসল তোলার তীব্র আকাঙ্খাতো ছিলই।
সকালের মিষ্টি রোদ তখনো শেষ হয়ে যায়নি। এসব শিক্ষার্থীদের অপেক্ষায় কৃষক আজিজুল হক।নিজের লাগানো ফসলের ক্ষেত দেখে চক চক করে ওঠে শিশুদের চোখ-মুখ।
কৃষক আজিজুর হক ফসল তোলার নিয়মিটি শিখিয়ে দেন তাদের। আর ভরসার জায়গা হিসেবে সবার পরিচিত শাইখ সিরাজ তো ছিলেনই।
ততক্ষণে সূর্যের তাপ কিছুটা বেড়েছে। এগিয়ে চলে আলু তোলার কাজ। আলু তোলার পর শুরু হয় আলু মাপার কাজ। যে শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ আলু তুলতে পেরেছে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তবে পুরস্কার ছিল সবার জন্যই সমান।
শিক্ষার্থীরা বলছে, এখানে আসতে পেরে নতুন অভিজ্ঞতা হয়েছে তাদের। আর শিক্ষকরা বলছেন, শিক্ষার্থীদের বেড়ে ওঠার জন্য এমন অভিজ্ঞার প্রয়োজন রয়েছে।
আলু তোলার সঙ্গে কৃষকদের সুখ-দু:খ, বাজার ব্যবস্থাপনা, মধ্যস্বত্বভোগীসহ কৃষির নানান দিক নিয়ে জানতে পারে শিক্ষার্থীরা।
আরও দেখুন মোস্তফা মল্লিকের ভিডিও রিপোর্টে: