মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতের আমীর মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ
বহাল রেখে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়েছে। এরপর আজকেই ওই রায়ের কপি ট্রাইব্যুানালে পাঠানো হয়।
ট্রাইব্যুনালের রেজিস্টার জানিয়েছেন, রায়ের কপি দেখার পর পরই মৃত্যু পরোয়ানা পাঠানো হবে।
এটর্নি জেনারেল বলেছেন, আজ থেকেই রিভিউ আবেদনের সময়সীমা শুরু হয়েছে। আর আসামীপক্ষ জানিয়েছে, রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে তারা রিভিউ
আবেদন করবেন।
একশ ৫৩ পৃষ্ঠার রায়ে আপিল বিভাগ বলেছেন, আপিলকারী নিজামীকে গণহত্যা, ধর্ষণ এবং অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধের তিনটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এই অপরাধগুলো ছিল নৃশংস ও নির্মম। এসব ঘটনায় শুধু নিহতদের পরিবারের সদস্যরা নয়, সমগ্র সমাজই ব্যথিত। এই অপরাধীর শাস্তি দেখতে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করে আছে পুরো জাতি। আসামীর অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী মৃত্যুনণ্ড ছাড়া আর কোনো শাস্তি হতে পারে না।
মুক্তিযুদ্ধের সময়ে নিজামীর অমানবিক অপরাধের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল যে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন তা সঠিক ছিলো। মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। রিভিউ আবেদন করার প্রক্রিয়া নিয়েও ব্যাখ্যা দেন তিনি।
নিজামীর আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন জানিয়েছেন, রায় রিভিউ চেয়ে আবেদন করবেন তারা। তাদের আশা, মামলার সাক্ষী পর্যালোচনা করে নিজামীকে খালাস দেবেন সর্বোচ্চ আদালত।
মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে চলতি বছরের ৬
জানুয়ারি রায় দেন আপিল বিভাগ। এর আড়াই মাসের মাথায় সুপ্রিম কোর্টের
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রকাশ করা হলো পূর্ণাঙ্গ রায়।
মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আগের আসামীদের মামলা পর্যালোচনা করে
দেখা গেছে, পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের ১৫ দিনের মাথায় তাদের পক্ষে হওয়া রিভিউ
আবেদন বাতিল হওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই কার্যকর হয়েছে মৃত্যুদণ্ড।