একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধী মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া জামায়াতের ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর রিভিউ খারিজ করে দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছেছে।
এর আগে রায়ের কপি আসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। সেখানে রায়ের কপি ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান ও অন্য দুই সদস্য দেখার পর প্রয়োজনীয় আদেশ দিয়ে তা কেন্দ্রীয় কারাগার, স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
আইন অনুযায়ী এখন মতিউর রহমান নিজামীকে ওই রায়ের কপি পড়ে শোনানো হবে। যদি তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন তাহলে সেভাবে বাকি প্রক্রিয়া এগোবে, না করলে এগোবে অন্যভাবে।
জামায়াতের আমীর মতিউর নিজামীর রিভিউর রায় খারিজ করে ৫ মে রায় দেন আপিল বিভাগ। এর ৪ দিনের মাথায় প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে ৪ বিচারপতির স্বাক্ষরের পর ওয়েব সাইটের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয় সেই রায়।
এর অাগে নিজামীর রিভিউ খারিজ করে দেওয়া আদেশের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। প্রকাশের কিছুক্ষণ পর বিশেষ খামে রায় ও রায় সংশ্লিষ্ট নথি নিয়ে যাওয়া হয় ট্রাইব্যুনালে। চেয়ারম্যানসহ তিন সদসস্যের ট্রাইব্যুনালের বিচারপতিরা আদেশে স্বাক্ষরের পর প্রথমে স্বরাষ্ট্র ও আইন সচিব বরাবর পাঠানো হয়। এরপর দুটি খামে আদেশের আরও দুটি কপি লাল কাপড়ে মুড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় কেন্দ্রীয় কারাগার ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে।
২২ পৃষ্ঠার ওই রায়ে বলা হয়েছে, নৃশংস ও বর্বর হত্যাকাণ্ডের জন্য আসামির একমাত্র সাজা মৃত্যুদণ্ড। এই পরিস্থিতিতে সাজা কমানোর সুযোগ নেই।
এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, রায় প্রকাশের মাধ্যমে নিজামীর বিচারের আইনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এখন প্রাণভিক্ষা না চাইলে ফাঁসির দণ্ডাদেশ দ্রুত কার্যকর করা হবে।
গতকাল রোববার রাত ১২টার কিছু আগে পুলিশি পাহারায় একটি এ্যাম্বুলেন্সে করে নিজামীকে কাশিমপুর থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়। মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামিদের জন্য কারা অভ্যন্তরে নির্ধারিত কনডেম সেলেই রাখা হয়েছে তাকে।