রাজধানীর নিউমার্কেটের দোকান মালিক ও কর্মচারীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ ও নাহিদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত অভিযোগে ঢাকা কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সিয়াম এবং সংঘর্ষের সূত্রপাতকারী ফাস্টফুড দোকানকর্মী সজীব ও বাপ্পীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছে র্যাব। র্যাব জানায়, আধিপত্য দেখাতে ও ঝোঁকের মাথায় হত্যায় জড়িয়ে পড়ে সিয়াম।
এর আগে গত ২৮ এপ্রিল এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছিল ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
১৮ এপ্রিল রাতে নিউমার্কেট এলাকায় দোকান মালিক ও কর্মচারীদের সাথে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। যার রেশে পরদিন ১৯ এপ্রিল রণক্ষেত্রে পরিণত হয় নিউ মার্কেট এলাকা। সংঘর্ষে নাহিদ নামের একজন কুরিয়ার সাভিসকর্মী ও মোরছালিন নামে এক দোকান কর্মচারীর মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় ছাত্র শিক্ষক ব্যবসায়ী সাংবাদিক পুলিশসহ আহত হন প্রায় শতাধিক।
সেদিনের এক ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, কুরিয়ার সার্ভিসকর্মী নাহিদকে রড দিতে আঘাত করছে এক যুবক। র্যাবের দাবি ঐ যুবক ঢাকা কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সিয়াম।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন বলেন, মূল ঘটনার সূত্রপাত ওয়েলকাম ও ক্যাপিটাল নামের দুই ফাস্টফুডের দোকান থেকে। টেবিল বসানো নিয়ে দুই দোকানের কর্মচারীদের কথা কাটাকাটিকে কেন্দ্র করেই এতো বড় ঘটনার সূত্রপাত। ঘটনার এক পর্যায়ে ওয়েলকাম ফাস্টফুডের কর্মচারী বাপ্পি তার বন্ধু ঢাকা কলেজের কয়েকজন ছাত্রকে নিয়ে আসে। বাপ্পি ও সজিবকে কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
ঐ ঘটনায় নিহত মোরছালিন হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারেও অভিযান চালাচ্ছে বলে জানান তিনি।