নিউজিল্যান্ডের হোয়াইট আইল্যান্ড আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতে এ পর্যন্ত ৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ওই এলাকায় নিখোঁজ রয়েছেন বহু পর্যটক।
মৃতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা করছে পুলিশ। এছাড়া এ পর্যন্ত ২৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। আটকে পড়াদের উদ্ধারে কাজ চলছে।
বিবিসি জানিয়েছে, নিউজিল্যান্ডের স্থানীয় সময় সোমবার দুপুর ২টা ১১ মিনিটে হঠাৎ করেই হোয়াইট আইল্যান্ড আগ্নেয়গিরিতে অগ্নুৎপাত শুরু হয়। মুহূর্তেই ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় আশপাশের এলাকা।
আকস্মিক অগ্নুৎপাতের কিছুক্ষণ আগেই আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখের আশপাশে, এমনকি ভেতরেও অর্ধশতাধিক পর্যটক অবস্থান করছিলেন। তাদের অনেকেরই খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন। তিনি জানান, আটকে পড়াদের যতো দ্রুত সম্ভব উদ্ধার করতে কাজ চলছে।
আগ্নেয়গিরির কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করা পর্যটকদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ধোঁয়া এবং ছাইয়ের কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন সিভিল ডিফেন্স ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট’র পরিচালক সারাহ স্টুয়ার্ট-ব্ল্যাক।
উত্তর উপকূলে অবস্থিত হোয়াইট আইল্যান্ড আগ্নেয়গিরি (হোয়াকারি নামেও পরিচিত) নিউজিল্যান্ডের অন্যতম সক্রিয় আগ্নেয়গিরি। এর আগে ২০১৬ সালে এর উদগীরণ হয়, তবে ওই সময় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
এখানে প্রতিনিয়তই পর্যটকদের আনাগোনা চলে। শুধু তাই নয়, গত ৩ ডিসেম্বরেও এলাকাটি পর্যটনের জন্য নিরাপদ বলে ঘোষণা দিয়েছিল ভূতাত্ত্বিক ঝুঁকি পর্যবেক্ষণ ওয়েবসাইট জিওনেট।