মিরপুরে ঠিক আগের ম্যাচটিতে অস্ট্রেলিয়াকে ৬২ রানে গুটিয়ে দেয়া বাংলাদেশ এবার নিউজিল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে দিলো সবে ৬০ রানে। মেহেদী-নাসুম-সাকিব-মোস্তাফিজ-সাইফউদ্দিন, সকলে উইকেট তুলেছেন ভাগাভাগি করে।
শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের ২২ গজে নেমে শুরু থেকেই দিশেহারা হয়ে পড়ে নিউজিল্যান্ড। টসে জিতে আগে ব্যাটে নামা টম ল্যাথামের দল টাইগারদের ঘূর্ণির মুখে একসময় ৪ ওভারে ৯ রানে ৪ উইকেট খুইয়ে বসে।
সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি সফরকারীরা। বুধবার পাঁচ ম্যাচ টি-টুয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে নেমেছে দুদল। মাহমুদউল্লাহর মুখে হাসি ফুটিয়ে ১৬.৫ ওভারে সবকটি উইকেট তুলে ৬০ রানে কিউইদের অলআউট করেছে স্বাগতিকরা।
শুরুটা করে দেন মেহেদী। ম্যাচের প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে ফিরতি ক্যাচ নিয়ে ফেরান অভিষিক্ত রাচিন রবীন্দ্রকে। অভিষেকে গোল্ডেন ডাক কিউই ব্যাটসম্যানের।
তৃতীয় ওভারে উইল ইয়ংকে (৫) বোল্ড করেন সাকিব আল হাসান। তিনি পরে রানের খাতা খুলতে দেননি অভিষিক্ত কোল ম্যাককঞ্চিকে। আউটফিল্ডে মুশফিকের ক্যাচ বানিয়েছেন।
সাকিবের প্রথম উইকেটের পরের ওভারে নাসুম আহমেদ দেন জোড়া ধাক্কা। চতুর্থ ওভারের তৃতীয় বলে কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমকে (১) সীমানার কাছে ক্যাচ বানান। ওভারের শেষ বলে ওপেনার টম ব্লান্ডেলকে (২) করেন বোল্ড।
স্পিনারদের পর বল হাতে নেয়ার সুযোগ পান পেসাররা। হতাশ করেননি তারাও। সাউফউদ্দিন অধিনায়ক ল্যাথামকে (১৮) নাসুমের ক্যাচ বানিয়েছেন। হেনরি নিকোলসকে (১৭) করেছেন মুশফিকের তালুবন্দি।
অন্যদিকে মোস্তাফিজ ডগ ব্রেসওয়েলকে (৫) মেহেদীর ক্যাচ বানানোর পর বোল্ড করেন (৩) আজাজ প্যাটেলকে। তার তৃতীয় উইকেট জ্যাকোব ডাফি, দারুণ ক্যাচ নিয়েছেন সাইফউদ্দিন।
৪ ওভারে ১৫ রানে ১ উইকেট মেহেদীর। সমান ওভারে ১০ রানে ২টি সাকিবের। ২ ওভারে ৫ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন নাসুম। সমান ওভারে ৭ রানে ২ উইকেট সাইফউদ্দিনের। সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেয়া ফিজের ২.৫ ওভারে খরচ ১৩ রান।