নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুন নাহার সিদ্দীকা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) মো. শামীম আলম ও তারাশ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জিল্লুর রহমানকে আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সেই সাথে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার মজিবুর রহমানের ৩টি পুকুর ভোগ-দখলে বাধা না দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বিচারপতি মো.ইমদাদুল হক আজাদের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন।
আদালতে জেলা প্রশাসকসহ ৩ কর্মকর্তার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শহিদুল ইসলাম খান। আর অপর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী বদরুদোজ্জা বাবু।
পরে আইনজীবী বদরুদোজ্জা বাবু জানান, সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ থানার মজিবুর রহমান ৩ টি পুকুর ভোগ-দখল করে আসছিলেন। কিন্তু ২০১৬ সালের ৩১ অক্টোবর সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক পুকুরগুলি ইজারা দিতে বিজ্ঞপ্তি জারি করেন।
পরে ওই বিজ্ঞপ্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন মজিবুর রহমান সরকার। সে আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ওই পুকুর ইজারা না দেওয়ার জন্য ৬ মাসের নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
কিন্তু হাইকোর্টের এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়ে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। কিন্তু গত ৩১ জানুয়ারি ওই পুকুর ইজারা দেওয়ার জন্য আবার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
এরপরই সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসকসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আদালত অবমাননার মামলা করেন মজিবুর রহমান সরকার।
এই মামলার প্রেক্ষিতে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুন নাহার সিদ্দীকা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) মো. শামীম আলম ও তারাশ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জিল্লুর রহমানকে তলব করেন আদালত।
সেই সাথে কেন তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে ব্যবস্থা নেয়া হবে না সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসকসহ ৩ কর্মকর্তা স্বশরীরে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে ব্যাখ্যা দিলে হাইকোর্ট ক্ষমা মঞ্জুর করে তাদেরকে অব্যাহতি দেন।