বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম (২৭) মারা গেছেন। (ইন্না লিল্লাহি … রাজিউন)। দেড় মাসের মতো দুরারোগ্য ব্যাধি ফুসফুসের ক্যান্সারে ভুগে আজ বিকাল ৪ টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
মৃত্যুর আগে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন নজরুল।
তার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
শোকবার্তায় তিনি বলেন, নজরুলের অকাল মৃত্যুতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এক উদীয়মান তরুণ কর্মীকে হারালো।
নজরুলের গ্রামের বাড়ি মৌলভিবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নে। তার বাবা কেরামত আলী পুলিশের একজন কমকর্তা। এক ভাই ও এক বোনের মধ্যে বড় ছিলেন নজরুল।
সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী নজরুল ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হন। থাকতেন জসিমউদ্দিন হলের ৩২২ নম্বর কক্ষে।
আজ মাগরিবের নামাজের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে তার প্রথম নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। পরে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কিছুক্ষণ রেখে সিলেটে নিয়ে যাওয়া হবে তার মরদেহ।
তার মৃত্যুতে সামাজিক মাধ্যমে শোক জানিয়েছেন সংগঠনটির সাবেক-বর্তমান নেতা-কর্মীরা।
উন্নত চিকিৎসার জন্য নজরুলকে বিদেশে নেওয়ার কথা ছিলো। এ ব্যাপারে কয়েকদিন আগে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দেখা করেছিলেন। এছাড়াও নজরুলের চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থা ও ব্যয়ভার বহন করবে বলে তার পরিবারকে আশ্বস্ত করেছিলো কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
ছাত্রলীগের একটি সূত্র জানায়, নজরুলের ব্যাপারে ডাক্তারদের সাথে কথা বলে প্রধানমন্ত্রী জানতে পারেন তাকে বিদেশে নিয়ে লাভ হবে না।
মাথা ব্যথা ও ঠান্ডাজনিত সমস্যা নিয়ে আগস্ট মাসের ১০ তারিখে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন নজরুল। পরে দুরারোগ্য ব্যাধিটি ধরা পড়ে।
অসুস্থ হওয়ার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং মহাখালীর জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালেও চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। পরে রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালেও ভর্তি ছিলেন। তিন-চার দিন আগে তাকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।