কালজয়ী চিত্রনায়ক, প্রযোজক ও পরিচালক নায়করাজ রাজ্জাকের অবদান বাংলা চলচ্চিত্রে অবিস্মরণীয়। বাংলা চলচ্চিত্রের উত্থানে তার অবদান ছিল অসামান্য। ধীরে ধীরে তিনি গণমানুষের নায়কে পরিনত হয়েছেন। সবার মনে আজও তিনি গেঁথে আছেন।
প্রয়াত কিংবদন্তি নায়করাজ রাজ্জাকে যেন দেশের মানুষ এভাবেই সারাজীবন মনে রাখেন সেজন্য তার নামে নির্মিতব্য মেট্রোরেলে একটি স্টেশনের নামকরণ করার দাবি জানিয়েছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রে তারই উত্তরসূরী তারকা অভিনেতা শাকিব খান।
দেশের চলচ্চিত্রের শীর্ষ এই নায়ক মঙ্গলবার রাতে চ্যানেল আই অনলাইনের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, নায়করাজ রাজ্জাকের নামে রাজধানীতে নির্মাণাধীন মেট্রোরেলের কমপক্ষে একটি স্টেশনের নামকরণ হওয়া দরকার। তাছাড়া রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ কোনো স্থানে তার একটি স্ট্যাচু হওয়া দরকার। নায়করাজ রাজ্জাক এটা ডিজার্ভ করেন।
নায়করাজ রাজ্জাকের পর ইন্ডাস্ট্রি শাসন করা নায়কদের একজন শাকিব খান। গত দেড় দশক ধরে তিনিই মিস্টার ঢালিউড! প্রযোজক পরিচালকদের আস্থার নির্ভরযোগ্য নাম শাকিব খান। ঢালিউডের এই ভাইজান খ্যাত তারকা বলেন, একটা সময় এদেশে উর্দু-ভিনদেশি ছবি চলতো। উত্তম কুমার, ওয়াহিদ মুরাদ, মোহাম্মদ আলীদের ছবি দেখতো দর্শক। তখন রাজ্জাক সাহেবের আর্বিভাব হয়। তার কারণেই মানুষ বাংলাদেশের ছবি দেখা শুরু করেছিল। রাজ্জাক সাবেহের ভক্ত হওয়া শুরু করলো, তখন বাংলা ছবি নিজের সংস্কৃতিতে চলতে শুরু করলো। সত্যি এ এক বিরাট অবদান।
পশ্চিম্বঙ্গের মহানায়ক উত্তম কুমার। তার নামকরণে কলকাতায় রয়েছে ‘মহানায়ক মেট্রো স্টেশন’। ওই উদাহরণ টেনে শাকিব খান বলেন, টালিগঞ্জের উত্তম কুমারের নামে বড় করে তার ছবিসহ লেখা রয়েছে ‘উত্তম কুমার মেট্রো স্টেশন’। আমাদের দেশে এখন মেট্রোরেল নির্মিত হচ্ছে। এখানেও রাজ্জাক সাহেবের নামে কমপক্ষে একটি মেট্রোরেল স্টেশনের নামকরণ করা উচিত। তাহলে প্রতিদিন হাজারও মানুষ তাকে স্মরণ করবেন। নতুন প্রজন্মের কাছেও রাজ্জাক সাহেব বেঁচে থাকবেন।
শাকিব খান আরও বলেন, গর্ব করে বলি তিনি আমাদের নায়করাজ। এটা রাজ্জাক সাহেব অবশ্যই ডিজার্ভ করেন। আমাদের ইন্ডাস্ট্রির জন্য তিনি সারাজীবন খেটেছেন। তিনি একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, স্বাধীনতা পদকসহ অসংখ্য সম্মাননা পেয়েছেন। রাজ্জাক সাহেবকে তার প্রাপ্য সম্মান হিসেবে এটা সরকারের করা উচিত। আমাদের ঢাকায় যে মেট্রোরেল হচ্ছে সেখানে নায়করাজ রাজ্জাক মেট্রোরেল স্টেশন নামকরণ হোক।