চার বছর আগের কথা। গলে স্মরণীয় এক টেস্ট খেলেছিল বাংলাদেশ। একটি ডাবল সেঞ্চুরি, একটি প্রায় ডাবল ও একটি সেঞ্চুরিতে ছয়শ পেরোনো ইনিংস গড়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল টাইগাররা। সেই ড্রয়ে মুশফিকের ২০০, আশরাফুলের ১৯০-এর সঙ্গে দারুণ ভূমিকা রেখেছিল নাসির হোসেনের ১০০!
কালের পরিক্রমায় আবারো গলে নেমেছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার আছেন সেই টেস্টের তিনজন। থাকতে পারতেন নাসিরও। কিন্তু কিছুদিন ধরেই যে টাইগার দলে উপেক্ষিত এই অলরাউন্ডার। শুরুতে একাদশে জায়গা পেতেন না, এখন স্কোয়াডেই সুযোগ মেলে না।
নাসির ফুরিয়ে যাননি। ঘরোয়া লিগে রানেই আছেন। কদিন আগেই ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন। কিন্তু টিম কম্বিনেশনের কথা বলে তাকে স্কোয়াডের বাইরে রাখা হয়। বাংলাদেশ যখন গলে লড়ছে, সতীর্থদের খেলা হয়তো দেখছেন না নাসির! তাকে বিসিএলের ম্যাচ খেলতে হচ্ছে। তবে দেখে থাকলে স্মৃতিকাতর হয়ে পড়বেন নিশ্চয়। হয়তো পোড়াবেও! সেটিই ভাবাচ্ছে প্রবাসী ক্রীড়া বিশ্লেষক ফরহাদ টিটোকে। নাসিরের খুব কষ্ট হবে এই টেস্ট দেখতে- শিরোনামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস লিখেছেন তিনি।
ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসে ফরহাদ টিটো লিখেছেন, ‘ঠিক চার বছর আগে (মার্চ ৮-১২, ২০১৩) গলে টেস্ট খেলেছিলো বাংলাদেশ, শেষবার। ফ্ল্যাটেস্ট উইকেটে ব্যাটসম্যানদের সাফল্যে ভরা টেস্টটা ড্র করতে পেরেছিলো আমাদের দল বীরের মতো খেলে।
সেই টেস্টে দুই দল মিলে সেঞ্চুরি করেছিলো ৮টা! মুশফিকুর রহিম করেছিলেন তার ও বাংলাদেশের জীবনের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি। আশরাফুলের ১৯০ রানের ইনিংসটা ছিলো উদাহরণ দেওয়ার মতো টেস্ট ইনিংস। বাংলাদেশের ইনিংসে কম সময়ে দৃষ্টিনন্দন একটা শতরানের ইনিংস খেলেছিলেন নাসির।
সেই নাসির এখন লংগার ভার্সন ক্রিকেটে আগের চাইতে অভিজ্ঞ, পরিপক্ব ব্যাটসম্যান.. ভালো ফর্মে থাকা এই পরীক্ষিত পারফর্মার কিছুদিন মাত্র আগে ডাবল সেঞ্চুরিও করে ফেলেছেন দেশের মাঠে। অথচ সেই নাসির দলেই নেই গল টেস্টে, এমনকি পুরো সফরে!
শ্রীলংকায় গিয়ে কার জায়গায় খেলতো নাসির ? ……এই প্রশ্নটাও সংগত জানি।’