সারাদেশ থেকে আসা নারী সাংবাদিক ও সাংবাদিকতার শিক্ষার্থীদের আগ্রহ, কৌতুহল আর উচ্ছাসের মধ্যদিয়ে যাত্রা শুরু হল ডিডব্লিউ একাডেমির মেন্টরশিপ।
ডিজিটাল সাংবাদিকতায় দক্ষ করে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে জার্মান গণমাধ্যম ডয়চে ভেলের গণমাধ্যম উন্নয়ন শাখা ডিডব্লিউ একাডেমি বাংলাদেশে এই প্রকল্পটি হাতে নেয়।
ঢাকার গুলশানে একটি হোটেলে তিনদিনব্যাপী এই আবাসিক কর্মশালায় ৯ জন সাংবাদিক এবং ১০ জন সাংবাদিকতার ছাত্রী অংশ নেন। এর আগে উন্মুক্ত আবেদন ও যাচাই-বাছাইয়ের মধ্য দিয়ে মোট ২০ জনকে এই মেন্টরশিপের জন্য নির্বাচিত করা হয়।
এ বছর ফ্রি প্রেস আনলিমিটেড এর অদম্য সাংবাদিক পুরষ্কারপ্রাপ্ত অনুসন্ধানী সাংবাদিক, দৈনিক প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি রোজিনা ইসলাম এই সাংবাদিকদের আগামী তিনমাস দিকনির্দেশনা দেবেন। এই ২০ জন অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকতার বিভিন্ন কর্মশালায় অংশ নেবেন এবং সাংবাদিক-শিক্ষার্থী জোড়ায় জোড়ায় ভাগ হয়ে বিশেষ সংবাদ প্রতিবেদন তৈরি করবেন।
রোজিনা ইসলামের সঙ্গে কর্মশালা পরিচালনা করেন মাইনুল ইসলাম খান।
কর্মশালার বিষয়ে ডি ডব্লিউ একাডেমীর প্রোগ্রাম ডিরেক্টর (বাংলাদেশ) প্রিয়া এসেলবর্ন বলেন, “ডিডব্লিউ একাডেমি বিশাস করে বিশ্বজুড়ে নারীর ক্ষমতায়নই পারে সামাজিক উন্নয়ন বয়ে আনতে। এই ২০ জন সংবাদকর্মীদের ডিজিটাল দক্ষতা বৃদ্ধি ও তাদের নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার মাধ্যমে গনমাধ্যমে আরো প্রতিযোগীতামূলক অবস্থানে যাবার জন্য এই আয়োজন করতে পেরে আমরা আনন্দিত।’’
নারীদের জন্য তৈরি বিশেষ এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে ডিডব্লিউ একাডেমির সঙ্গে আর কাজ করছে বাংলাদেশের দুটি সংগঠন ‘কথা’ ও ‘বহ্নিশিখা’। জার্মানীর অর্থনৈতিক সম্পর্ক ও উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নের এই প্রকল্পে তারা দেশের নয়টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে জেন্ডার-সংবেদনশীলতার কর্মশালা পরিচালনা ও গণমাধ্যমে নারী বিষয়ক সাংবাদিকতার জন্য একটি রূপরেখা (স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর) তৈরিসহ অন্যান্য কার্যক্রমে অংশ নেবে।
ডিডব্লিউ একাডেমি ২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশে সাংবাদিকতার শিক্ষা এবং চর্চা উন্নত করার লক্ষ্যে এবং মুক্ত গণমাধ্যমকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করছে।