মার্কিন নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী, ডেমোক্র্যাট হিলারি ক্লিনটন আর রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প। দুই প্রার্থীর রাজনৈতিক জীবন নিয়ে অনেকটা জানা গেলেও তাদের ব্যক্তি জীবনের অনেক তথ্যই অজানা।
১৯৪৭ সালের ২৬ অক্টোবর জন্ম নেন বিশ্বব্যাপী আলোচিত যুক্তরাষ্ট্রের এই নারী রাজনীতিবিদ। শিকাগোতে বেড়ে ওঠা হিলারি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের স্ত্রী হিসেবে ১৯৯৩ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ছিলেন মার্কিন ফার্স্ট লেডি।
মেরি এ্যানি ম্যাকলিউড এবং ফ্রেড ক্রিস্ট ট্রাম্পের ছেলে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড জন ট্রাম্পের জন্ম ও বেড়ে ওঠা নিউইয়র্ক শহরেই।
অন্যদিকে, বাবা রিয়েল স্টেট ব্যবসায়ী হওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যেই জড়িয়ে পড়েন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এছাড়া, প্রযোজনা, উপস্থাপনা এমনকি মিস ইউনিভার্সের স্পন্সর হিসেবেও কাজ করেন ট্রাম্প।
১৯৬৪’র মার্কিন নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থীর হয়ে ক্যাম্পেইন চালিয়েছিলেন হিলারি। কিন্তু, ৬৮’র নির্বাচনের সময় দল পরিবর্তন করে ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর হয়ে কাজ করেন তিনি। জীবনের শুরু থেকে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়লেও নাসার নভোচারি হতে চেয়েছিলেন হিলারি।
কিন্তু নারীদের নভোচারি হিসেবে নেয়া হয় না বলে জানায় নাসা। ওদিকে, রাজনীতি সম্পর্কে পূর্বের তেমন কোনো অভিজ্ঞতা নেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের। ১৯৮৭ সাল থেকে রিপাবলিকান পার্টিতে থাকলেও এরআগে কিছুদিন ডেমোক্র্যাট দলে ছিলেন তিনি।
১৯৭৫ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন হিলারি। তবে, ব্যবসার সাথে ব্যক্তিজীবনেও খানিকটা এগিয়ে তিনবার বিয়ে করেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।
প্রথমবার প্রেসিডেন্ট পদে লড়লেও হোয়াইট হাউজে প্রবেশের অভিজ্ঞতা নতুন নয় হিলারির। ছিলেন সাবেক ফার্স্টলেডি আবার সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবেও সেখানে কাজ করেছেন তিনি। ওয়াশিংটন ডিসিতে কাজ করা ছাড়াও ওয়াটারগেট কেলেংকারি নিয়ে প্রেসিডেন্ট অভিশংসন তদন্ত কমিটির সদস্য হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন হিলারি।
এছাড়া, শিশুদের স্বাস্থ ইন্স্যুরেন্স, ক্লিনটন স্বাস্থ সুরক্ষা প্ল্যান ছাড়াও কাজ করেছেন বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে। আর তিনিই প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রী যিনি বিশ্বের ১১২টি দেশে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা রয়েছে।
মার্কিন নির্বাচনে ক্যাম্পেইনের শুরু থেকেই ভালো অবস্থানে থাকলেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন ইমেইল কেলেংকারি নিয়ে বারবার প্রশ্নের সম্মুখীন হন হিলারি। রেহাই পাননি প্রতিপক্ষের কটুক্তি থেকেও। অপরদিকে, বরাবরই বেফাঁস মন্তব্যের জন্য আলোচিত ধনকুবের ডোনাল্ড ট্রাম্প।
নারীদের নিয়ে অরুচিকর মন্তব্যের ভিডিও ছাড়াও ক্যাম্পেইন চলাকালে একাধিক সময় বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথা বলে নিজের অবস্থান থেকে ফসকে গেছেন রিপাবলিকান ট্রাম্প।
আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরই বহু প্রতীক্ষিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। আর, সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে কে হচ্ছেন পরবর্তি বিশ্বনেতা তা জানার অপেক্ষায় বিশ্ববাসী।