বিশ্বজুড়ে নারী ফুটবলের জাগরণের জন্য প্রথমবারের মতো বিশাল এক কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। মঙ্গলবার সেই কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেছে সংস্থাটি।
আধুনিক যুগে বিশ্বব্যাপী পুরুষ ফুটবলের অবকাঠামোগত যে উন্নতি হয়েছে, তা বিস্ময়কর। সেই তুলনায় নারী ফুটবলে কিছুই হয়নি। গত কয়েক বছরে এশিয়ায় সাফের মতো কয়েটি আঞ্চলিক টুর্নামেন্ট হলেও বড় ধরণের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা খুব একটা হয়নি।
সদস্য কিংবা সহযোগী দেশগুলোর সঙ্গে কিভাবে কাজ করা হবে, বই আকারে সেই নীতিমালা তৈরি করেছে ফিফা। এখন থেকে প্রতিটি দেশের ক্লাব ফুটবলকে গুরুত্ব দেয়া হবে।
পুরুষ ফুটবলের জন্য সদস্য দেশগুলোর ফেডারেশনকে বড় অঙ্কের অনুদান দেয় ফিফা। যার একটি অংশ পায় সংশ্লিষ্ট দেশের শীর্ষ পর্যায়ের ক্লাবগুলো।
এখন থেকে মেয়েদের জন্য বড় অঙ্কের অনুদান আসলে সেটি হবে ‘সোনায় সোহাগা’র মতো ব্যাপার। বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো দেশের জন্য। গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের নারী ফুটবলে অভূতপূর্ব জাগরণ ঘটেছে। কিন্তু আর্থিকভাবে মেয়েরা উপকৃত হচ্ছে নামমাত্র।
ফিফা মনে করে, নারীর ক্ষমতায়ন সৃষ্টিতে সম্প্রতি সময়ে ফুটবল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এই ধারাকে আরও তরান্বিত করা উচিত।
ফিফার মহাসচিব ফাতমা সামৌরা নতুন কর্মপরিকল্পনার বিষয়ে বলেন, ‘ফিফার প্রথম নারী মহাসচিব হিসেবে বিশ্বজুড়ে নারী ফুটবলের প্রথম কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করতে পেরে আমি গর্বিত। নারী ফুটবলকে এখন থেকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিবে ফিফা। একই সঙ্গে ২১১টি সদস্য দেশের সঙ্গে হাতে হাত রেখে কাজ করা হবে।’
ফাতমা সামৌরা জানান, এখন থেকে তৃণমূল পর্যায়ে মেয়েদের জন্য বেশি বেশি টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হবে। একই সঙ্গে অবকাঠামো যেন আর্থিকভাবে শক্তিশালী হয়, সে বিষয়ে নজর দেয়ার হবে।