গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী ২০২০ সালের মধ্যে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের সকল স্তরের কমিটিতে অন্তত ৩৩ শতাংশ নারী সদস্যদের জন্য সংরক্ষণের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা শিথিল করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে প্রস্তাব দিয়েছে খেলাফত মজলিস এবং বাংলাদেশ মুসলিম লীগ। যারা উভয়ই বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের সদস্য।
সোমবার নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ইসির সংলাপের দ্বিতীয় দিনে এই দুটি রাজনৈতিক দল এ প্রস্তাব দেয় বলে জানিয়েছেন ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ।
এছাড়া দুটি দলই নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার এবং বিচারিক ক্ষমতাসহ সেনা বাহিনী মোতায়েনের প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানান ইসি সচিব।
সকাল ১১টার দিকে মুসলিম লীগ এবং বিকেল তিনটার দিকে খেলাফত মজলিসের সঙ্গে বৈঠক করে কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সংলাপে খেলাফত মজলিশের ১২ জন এবং মুসলিম লীগের প্রতিনিধি অংশ নেয়।
উভয় দলের প্রধান প্রধান প্রস্তাবগুলো তুলে ধরে বিকেল পাঁচটার দিকে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ইসি সচিব।
খেলাফতে মজলিসের প্রস্তাবগুলো সম্পর্কে ইসি সচিব বলেন: নারী প্রতিনিধিত্ব নির্ধারণসহ বেশ কিছু বিষয়ে একই ধরনের প্রস্তাব এসেছে দল দুটি থেকে। এর মধ্যে রয়েছে নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার, বিচারিক ক্ষমতাসহ সেনাবাহিনী মোতায়েন এবং নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরিতে কমিশনের কার্যকর ভুমিকা রাখা।
রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের ব্যাপারেও ইসিকে ভুমিকা রাখার প্রস্তাব দেয় দল দুটি। তবে রাজনৈতিক মামলাগুলো প্রত্যাহারে ইসি কোন ভুমিকা রাখতে পারবে না বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন: দুটি দলের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে কমিশন বলেছে সহিংস ও ফৌজদারী মামলা, যেসব মামলার এজহার হয়েছে- সেক্ষেত্রে কমিশন কোনো সুপারিশ করবে না, করতে পারে না।