প্রতিনিধিত্বে ও এলাকায় একজন ওয়ার্ড কাউন্সিলরের চেয়ে তিনগুণ বেশি তার। অথচ সিটি কর্পোরেশনে ক্ষমতার চর্চায় তার প্রতিফলন নেই। এবারের সিটি নির্বাচনে দলমতের উর্ধ্বে চট্টগ্রামের নারী কাউন্সিলরদের দাবি, কর্পোরেশনের কার্যক্রমে নারীর ক্ষমতায়ন।
এবার চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে ১৪ টি সংরক্ষিত আসনে নারী কাউন্সিলর প্রার্থী ৬৬ জন। একজন ওয়ার্ড কাউন্সিলরের যেখানে এলাকার মাত্র এক থেকে দেড় বর্গকিলোমিটার। সেখানে একজন নারী কাউন্সিলরকে ছুটতে হচ্ছে তার তিনগুন এলাকায়। ভোটারের পরিমানও অনকে বেশি। তারপরও নাওয়া খাওয়া। দিন-রাতের হিসাব ভুলে সবার কাছে ছুটে যাওয়া।
প্রচারণার সময় একজন নারী কাউন্সিলর প্রার্থী বলেন, আমাদের দৌড় অনেক, বিতরণও অনেক, চাহিদাও বেশি।
অপর একজন প্রার্থী বলেন, আমাদের ওয়ার্ড এত বড় যে ভোটারদের কাছে আমরা একাধিকবার যেতে পারি না।
জনপ্রতিনিধি হয়েও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর হিসেবে পরিচিত তাদের। তবে প্রতিনিধি শুধু নারীদের নয়, ওয়ার্ডের পুরুষদের হৃদয়ও জয় করতে হয়। অথচ ঘরে বাইরে বৈষেম্যেও শিকার তারা। নির্বাচিত হওয়ার পরও ক্ষমতার চর্চায় তাদের দেখা হয় শুধুই নারী হিসেবে। নির্বাচিত হলে নিজের এলাকার নারীদের সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি মাদকমুক্ত করাকেও গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা।
আরেকজন নারী প্রার্থী জানান, নারীর ক্ষমতায়ণ, নারী শিক্ষা, উন্নয়ন, যুবসমাজের কর্মসংস্থান এবং এলাকার রাস্তাঘাট উন্নয়নের জন্য কাজ করবো।
নির্বাচন কমিশনের হিসাবে নারী কাউন্সিলর প্রার্থীদের বেশিরভাগ গৃহিনী হলেও তাদের ঘরের বাইরে পুরুষের সাথে সমান্তরালে জনপ্রতিনিধি হওয়ার লড়াই। নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষণ।