নারী ও কন্যা শিশুর প্রতি সহিংসতা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে বড় বাধা। নারীর প্রতি সহিংসতাকে ‘পৃথিবীর সবচাইতে ভয়াবহ মানবসৃষ্ট দুর্যোগ’ বলে মনে করেন ইউএন উইমেন’র সহকারি কার্যনির্বাহী পরিচালক লাক্সমি পুরী। এ ‘দুর্যোগ’ প্রতিরোধে আরো জোরদার প্রয়াস এবং বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
ইউএন উইমেন এর নেতৃত্বে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে ১৬ দিনের কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ঢাকা সফর করছেন লাক্সমি পুরী।
সফরের অংশ হিসেবে লাক্সমি পুরী মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এমপি, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড: শিরিন শারমিন চৌধুরি, বেসরকারি সংস্থা, সিভিল সোসাইটি, কুটনৈতিক মিশন এবং উন্নয়ন অংশীদার সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি নারী ও কন্যা শিশুদের প্রতি সহিংসতা নির্মূল করার আহ্বান জানান। এটা করতে গেলে দীর্ঘমেয়াদী প্রয়াস এবং অর্থনৈতিক প্রতিশ্রুতির প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রীকে তিনি জানান, উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নারীর প্রতি সহিংসতা নির্মূল করা অন্যতম পূর্বশর্ত। কিন্তু বাংলাদেশে নারী নির্যাতনের হার লক্ষ্য করে দেখা যায়, বিশেষত: শিশু বিবাহ এবং গৃহস্থালী নির্যাতনের হার উচ্চ-মাত্রার। সাম্প্রতিক গবেষনায় (বিবিএস) দেখা যায়, প্রতিবছর এক কোটি বাংলাদেশী নারী শারিরীক বা যৌন সহিংসতার শিকার হয়।
লাক্সমি পুরীর এই সফর আগামীকাল গ্লোবাল ফোরাম ফর মাইগ্রেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট এ অংশগ্রহনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে, যেখানে ইউএন উইমেন হয়রানি প্রতিরোধ ও নিরপেক্ষ কর্ম-পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য বিদেশগামী গৃহকর্মীদের জন্য জেন্ডার সংবেদনশীল ‘এমপ্লয়মেন্ট কন্ট্যাক্টের’ সূচনা করতে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ ইউএন উইমেন এবং এর অংশীদারী সংস্থাগুলো নারীর প্রতি সহিংশতা প্রতিরোধ, নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, নারীর রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, নেতৃত্বের বিকাশ এবং জেন্ডার সংবেদনশীল জাতীয় পরিকল্পনা ও বাজেট প্রনয়ণে কাজ করছে।