নারায়ণগঞ্জের ৭ খুনের ঘটনায় অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটির আবেদনের নিষ্পত্তি করে আদালত এই আদেশ দেন। এই আদেশের ফলে পুলিশ চাইলে অধিকতর তদন্ত করতে পারবে।
এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামিকে বাদ দিয়ে নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর সাত খুনের ঘটনায় অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এর বিরুদ্ধে নারাজি জানিয়ে নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটির করা আবেদন খারিজ করে দেয় নারায়ণগঞ্জের বিচারিক আদালত। পরে অধিকতর তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন তিনি। শুনানি শেষে আদেশ দেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের বেঞ্চ।
হাইকোর্টের আদেশে সন্তোষ প্রকাশ করেন আবেদনকারী সেলিনা ইসলাম বিউটি। বলেন, আমি চাই নূর হোসেন তার রিমান্ডে সব কথা বলুক। কার পরিকল্পনায়, কেন সে এতবড় হত্যাকাণ্ড ঘটালো, সাতটি পরিবারকে নি:স্ব করলো তা দেশবাসী জানুক।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মন্টু ঘোষ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবীর।
আইনজীবী মন্টু ঘোষ আদালতের বাইরে উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, আদালত বলেছেন, ষড়যন্ত্র হয়েছে। সেশন জজকে তাই ষড়যন্ত্রের ধারা (১২০বি) অন্তুর্ভুক্ত করে মামলাটির সুবিচার করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
এ আদেশের ফলে তদন্ত কর্মকর্তা চাইলে নূর হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন। নজরুল ইসলামের স্ত্রী গত বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) ওই আদেশটি হাইকোর্টে দাখিল করেছিলেন।
গত বছরের ২৭ এপ্রিল কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ ৭ জনকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহরণ করা হয়। শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ৭ জনের লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় দু’টি মামলা হয়েছে।