নারায়ণগঞ্জে ৭ খুন মামলায় ৩৫ জনকে আসামী করে পুলিশের দেয়া চার্জশিটের বিষয়ে আদালতে ‘না রাজি’ পিটিশন দিয়েছেন মামলার বাদী, নিহত প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা হোসেন বিউটি।
সোমবার ‘না রাজি’ পিটিশন সম্পর্কে সেলিনা হোসেন বলেন, ১ ফেব্রুয়ারিতে তার স্বামীকে মারা আগেই, বাসার নিচে অস্ত্র নিয়ে রাজু হুমকি দিয়েছিল, ‘নজরুল ইসলামকে যেখানেই পাবে মেরে ফেলা হবে’।
তিনি অভিযোগ করেন সব আসামীকে এজহারভূক্ত করে মামলায় নাম দেয়া হলেও পুলিশ কোনো আসামীকে ধরেনি, ধরার চেষ্টাও করেনি। পুলিশ কোন প্রেক্ষিতে এসব আসামীর নাম বাদ দিয়েছে তা তিনি জানতে চেয়েছেন। এছাড়া চার্জশিটে অনেকের নাম তিনি দেখেছেন যাদেরকে আসামী করা হয়নি। নূর হোসেন ছাড়া আর কোনো পরিকল্পনাকারীদের নাম চার্জশিটে দেয়া হয়নি।
সেলিনা হোসেন আরো বলেন, সিআইডি বা বড় কোনো উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এই মামলার তদন্ত করুক।
সেলিনা হোসেন বিউটির পক্ষের আইনজীবী বলেন, আদালতে ৯ পৃষ্ঠার একটি না রাজি পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। এই মামলার সাক্ষী ও আটক আসামীরা যারা আগেই দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারা জবানবন্দী দিয়েছেন, তারা হত্যাকান্ডে জড়িত আরো ১৬ জন হত্যাকারীর নাম বলেছিল। কিন্তু এই ১৬ জনকে চার্জশিটে এজহারভূক্ত করা হয়নি।
আগামী ৮ জুন আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
তবে অ্যাডভোকেট চন্দন সরকার হত্যা মামলার তদন্ত ও চার্জশিটে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী চন্দন সকরকারের জামাতা ডাক্তার বিজয় পাল।
শুনানির সময় মামলার প্রধান আসামী নূর হোসেনকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের দাবিতে আদালত চত্বরে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।