বিভিন্ন বিচ্ছিন্ন ঘটনা ও প্রার্থীদের ভোট বর্জনের ঘটনার মধ্যে দিয়ে বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। বিকেল চারটার পরে পরেই ভোটগ্রহণ শেষে ভোট গণণা শুরু হয়েছে।
নতুন মেয়র নির্বাচনে ৩ সিটিতে প্রায় ৯ লাখ ভোটার ৩শ’ ৯৫টি কেন্দ্রে ভোট দেন। এর মধ্যে ১৫টি কেন্দ্রে ভোট হয়েছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে।
তিন সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে ১৮ জন ও কাউন্সিলর পদে ৫শ ৩০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনের নিরাপত্তায় ছিলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার সদস্য।
বরিশাল
বরিশালে বিএনপি প্রার্থী মজিবর রহমান সরওয়ারসহ ইসলামী আন্দোলনের ওবাইদুর রহমান, বাসদের মনীষা চক্রবর্ত্তী ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির আবুল কালাম আজাদ ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
জাল ভোট দেয়া, অনিয়ম ও হামলার অভিযোগ এনে তারা এ ঘোষণা দেন।
সিলেট
বিএনপি প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী ৪১টি কেন্দ্রের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এনে দুপুরে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে ভোট বাতিলের লিখিত আবেদন করেন। জনগণের ভোটাধিকার হরণ হয়েছে উল্লেখ করে আন্দোলনের ঘোষণা দেন তিনি।
জাল ভোট ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় কিছু কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
রাজশাহী
রাজশাহীতে বিএনপি প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল এজেন্ট বের করে দেয়াসহ নানা অভিযোগে কেন্দ্রের ভেতরে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ করেছেন। তবে তিনি ভোট বর্জনের ঘোষণা দেননি।
ভোট শুরুর পর থেকেই বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে ভোট ডাকাতির অভিযোগ ওঠে দলটির পক্ষ থেকে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নির্বাচন সুষ্ঠু ও উৎসবমূখর হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।