নাটোরের গুরুদাসপুরে পাটখেত থেকে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত লাশের পরিচয় মিলেছে। তার নাম রাখি খাতুন। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে নিহতের স্বামী মিলন ইকবালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সিআইডির ক্রাইম সিন ডিপার্টমেন্টের সহায়তায় রাখি খাতুনের পরিচয় উদ্ধার করা হয়। রোববার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, গত ১ জুন গুরুদাসুপরের কাছিকাটা টোল প্লাজার কাছে বির বিয়াস নামে একটি পাটখেত থেকে অজ্ঞাত মহিলার লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে সিআইডির ক্রাইম সিনের সহায়তায় জানা যায়, নিহত মহিলা রাখি খাতুন (২৬)। রাজশাহী জেলার তানোর উপজেলার চান্দুরিয়া গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে মিলন ইকবালের স্ত্রী এবং রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার তালধারী গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের মেয়ে।
মেয়ের পরিচয় উদ্ধারের পর নিহত রাখি বাবাও স্বজনদের সাথে কথা বলে মিলন ইকবালের তৃতীয় স্ত্রী রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার পাকড়ী গ্রামের আনসিুর রহমানের মেয়ে তহমিনা খাতুন ও মিলন ইকবালকে শনিবার আনিসুরের বাড়ি হতে আটক করা হয়।
এসময় মিলন ইকবালের কাছ থেকে রাখি খাতুনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করে।
জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে মিলন ইকবাল জানান, সে ঢাকায় ডিবিবিএল ব্যাংকে মাত্র ১৪ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করে। সেখান থেকে প্রথম স্ত্রী রাখি খাতুনকে প্রতিমাসে ১০ হাজার টাকা পাঠাতো। বাকি ৪ হাজার টাকা দিয়ে তাকে চলতে হতো। তৃতীয় স্ত্রী তহমিনাকে সে টাকা পয়সা দিতে পারত না।
তালাক দিলে রাখি মামলা করবে। আইন আদালতের ঝামেলা পোহাতে হবে। এ কারণে সে রাখিকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরে তাকে গুরুদাসপুর উপজেরায় এক আত্মীয় বাসায় বেড়ানো কথা বলে রাখিকে সাথে নিয়ে ঢাকার বাস ধরে রাত ১টার দিকে কাছি কাটা টোল প্লাজার কাছে নামে।
পরে বিল বিয়াস নামকফাকা স্থানে লোহার হাতুরি দিয়ে মাথায় আঘাত করে রাখিকে হত্যা করে লাশ পাট ক্ষেতের মধ্যে ফেলে রেখে তৃতীয় স্ত্রী তহমিনার কাছে ফিরে যায়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এএসপি মীর আসাদুজ্জামান, জামিল আকতার, গুরুদাসপুর থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।