নাটোরে গুরুদাসপুরে চলনবিলে বিস্তৃর্ণ সরিষা ক্ষেতে চলছে মৌ চাষ। প্রতিদিন সংগ্রহ করা হচ্ছে প্রচুর পরিমাণ মধু।
কৃষক জানায়, সাপ্তাহিক মধু আসে ছয় মণ। মধুর থেকে আয় আসে ৩০ হাজার। আর আমাদের খরচ হয় তিন থেকে চার হাজার।
কৃষক আরো জানিয়েছেন, সরিষা ঘরে তুলে একই জমিতে বোরো আবাদ করা যায়। এ জন্য অতিরিক্ত সারের প্রয়োজন হয় না। আগাছা পরিস্কারের বাড়তি খরচ ও নেই।
‘তিন বছর ধরে মৌচাকের কারণে আমরা বিঘায় এক থেকে সোয়া মণ ফলন বেশি পাচ্ছি। মৌ চাষের কারণে প্রতি বিঘায় পাওয়া যাচ্ছে এক থেকে দেড় মণ বেশি সরিষা।
এ বছর গুরুদাসপুর উপজেলায় সরিষা চাষ হয়েছে দু হাজার হেক্টর জমিতে।
নাটোরের কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আলহাজ উদ্দিন বলেন, কৃষকদের প্রতিক্রিয়ায় দেখা যাচ্ছে যে তারা নিজেরাই মৌ বাক্স তৈরি করে নিজেদের মাঠে ব্যবহার করবে।
এতে করে তারা মধু পাবে পাশাপাশি সরিষার ফলনও বেশি পাবে।
সরিষা চাষে চাষীকে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিলে ফলন আরো বৃদ্ধি পাবে জানিয়েছেন চাষীরা।