আটালান্টার বিপক্ষে নামার আগে ব্রিটিশ মিডিয়ায় লেখা হয়, ম্যানচেস্টার সিটির চিন্তার কোনো কারণ নেই। কারণ, আগের ম্যাচে ৫- ১ ব্যবধানে জিতেছিল সিটি। রাহিম স্টার্লিং হ্যাটট্রিক করেছিলেন। ফলে কোচ পেপ গার্দিওলা খানিকটা স্বস্তিতেই। কিন্তু ম্যাচে সেটা হল না। নাটকীয় ম্যাচে ইতালির ক্লাবের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে সিটিজেনরা। তবে চাপের মধ্যে থেকেও অলিম্পিয়াকোসের বিরুদ্ধে ২-০ গোলে জিতে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে বায়ার্ন মিউনিখ।
ম্যাচের ৭ মিনিটের সময়ই ম্যানসিটিকে এগিয়ে দেন রাহিম স্টার্লিং। এক গোলের লিড নিয়ে যথারীতি আধিপত্য বিস্তার করতে থাকে তারা। কিন্তু এরমধ্যেই পেনাল্টি মিস করে ব্যবধান বাড়াতে ব্যর্থ হন গ্যাব্রিয়েল জেসাস। ব্রাজিলিয়ান তারকার মিসের পর ঘটে নাটকীয় মোড়।
প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের সঙ্গে সংঘর্ষ ও রেফারির সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে লালকার্ড দেখেন সিটি গোলকিপার ক্লদিও ব্রাভো। তার জায়গায় নামেন রিজার্ভ গোলকিপার এডারসন। কিন্তু তিনি পড়েন ইনজুরিতে। বাধ্য হয়ে গোলবারের নিচে দাঁড়াতে হয় ডিফেন্ডার কাইল ওয়াকারকে।
দুই গোলকিপারের পরিবর্তন আশা জাগায় আটালান্টাকে। শেষপর্যন্ত আশা পূর্ণও হয় তাদের। ৪৯ মিনিটে মারিও প্যাসালিকের গোলে সমতায় ফেরে আটালান্টা। বাকি সময়ের আর গোলের দেখা পায়নি ম্যানসিটি। গোল করতে পারেনি স্বাগতিকরাও। ফলে ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় সিটিকে।
অন্যদিকে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে নামার আগে বায়ার্ন মিউনিখের হাল একেবারেই সুবিধা ছিল না। কোচ নিকো কোভাচকে বিদায় দেয়া হয়। অস্থায়ী কোচ হিসেবে হ্যান্স ডিটিয়ের ফ্লিককে নিয়োগ করা হয়। তিনি আগে জার্মান দলের সহকারী কোচ ছিলেন। পাশাপাশি পিএসজি কোচ থমাস টুখেলকে প্রস্তাব দেয়ার কথা শোনা যায়। ম্যাচের আগে বায়ার্ন ফুটবলারদের মানসিকতা ছিল তলানিতে। বুন্দেসলিগায় শেষ ম্যাচে পাঁচ গোলে হারের পরে চিন্তা আরও বাড়ছিল। তবে ম্যাচ শেষে সব শঙ্কাই উড়ে যায়।
‘বি’ গ্রুপে গ্রিসের ঘরোয়া চ্যাম্পিয়ন দল অলিম্পিয়াকোসের বিপক্ষে ঘরের মাঠ অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ২-০ গোলে জেতে বায়ার্ন।
নিজেদের মাঠে অবশ্য প্রথমার্ধে কোনো গোল পায়নি। ৬৯ মিনিটের মাথায় দলের হয়ে প্রথম গোল করেন রবার্ট লেভানডোভস্কি। আর ৮৯ মিনিটে দলের দ্বিতীয় গোল করেন ক্রোয়েশিয়ান তারকা ইভান পেরিসিচ।
ঘরের মাঠে দুর্দান্তই ছিল বায়ার্ন। তবে গ্রিস চ্যাম্পিয়নরা ছাড় দেয়নি। দুই দলের পরিসংখ্যান সেটারই ইঙ্গিত দেয়। বায়ার্ন যেখানে ২৭টি শট নিয়েছে সেখানে মাত্র ৩টি শট নিয়েছে অলিম্পিয়াকোস। বায়ার্ন যেখানে টার্গেটে ১১টি শট নিয়েছে সেখানে গ্রিসের জায়ান্টরা কোনো শটই নিতে পারেনি। দুর্দান্ত বায়ার্নকে তবুও দুটির বেশি গোল করতে দেয়নি অলিম্পিয়াকোস।
জয়ে গ্রুপ ‘বি’র শীর্ষেই থাকল বায়ার্ন। চার ম্যাচের চারটিতেই জিতে সর্বোচ্চ ১২ পয়েন্ট জার্মান জায়ান্টদের। আর চার ম্যাচের একটিতে ড্র করে অলিম্পিয়াকোসের সংগ্রহ ১ পয়েন্ট, অবস্থান তলানিতে।
গ্রুপ ‘বি’র অন্য ম্যাচে রেড স্টার বেলগ্রেডকে ৪-০ গোলে হারায় টটেনহ্যাম হটস্পার। গ্রুপ ‘সি’তে ডায়নামো জাগরেব ও শাখতার দোনেস্কের ম্যাচটি ৩-৩ গোলে ড্র হয়।