প্রথম ম্যাচে একশ’র আগেই গুটিয়ে যাওয়া রংপুর রাইডার্সকে হারতে হয়েছিল ৩ উইকেটে। পরেরদিনই খেলতে নামা দলটি দ্বিতীয় ম্যাচে পায় ১৬৯ রানের লড়াকু পুঁজি। তারপরও একটা সময় ম্যাচটা নুয়ে পড়েছিল খুলনা টাইটানসের দিকে। শেষদিকে ফরহাদ রেজার দারুণ বোলিংয়ে জয়ে ফিরেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
১৭০ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামা খুলনা ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬১ রানের বেশি তুলতে পারেনি। রোমাঞ্চকর লড়াইয়ের পর বিপিএলের ষষ্ঠ আসরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার দল জিতেছে ৮ রানে।
শফিউল ইসলামের ‘হেয়ালি’ বোলিংয়ে শেষদিকে ম্যাচটা খুলনার দিকেই ঝুঁকে ছিল। শেষ ৩ ওভারে খুলনার দরকার ৩৫ রান, হাতে ৭ উইকেট। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও আরিফুল হক তখন উইকেটে থিতু। দোদুল্যমান অবস্থা থেকে ফরহাদ রেজা ১৮তম ওভারে বল হাতে নিয়ে পাল্টে দেন দৃশ্যপট। মাত্র ৫ রান দিয়ে মাহমুদউল্লাহর (২৪) উইকেট নিয়ে নিজেদের পক্ষে নিয়ে যান ম্যাচটি। যাতে থাকল অধিনায়কেরও অবদান, দারুণ এক ক্যাচ নেন মাশরাফী।
শফিউল ১৯তম ওভারে ১০ রান দিলে শেষ ওভারে দরকার পরে ২০ রান। কিন্তু অভিজ্ঞ ফরহাদ রেজা ১১ রানের বেশি দেননি। তাতেই স্বস্তির জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মাশরাফীর দল।
বড় লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেন পল স্ট্রার্লিং ও জুনায়েদ সিদ্দিকী। ওপোনিং জুটিতে তারা তোলেন ৯০ রান। জুনায়েদ ৩৩ করে সাজঘরে ফেরার পর দ্রুত আরও দুই উইকেট হারায় খুলনা। তাতে কমে আসে রান তোলার গতি। বলের সঙ্গে রানের পার্থক্য দ্বিগুণ হয়ে গেলে আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি মাহমুদউল্লাহর দল।
স্ট্রার্লিং ৪৬ বলে ৮ চার ও এক ছক্কায় করেন ৬১ রান। এ বাঁহাতি যখন সাজঘরে ফেরেন খুলনার তখন দরকার ছিল ৪০ বলে ৬২ রান। দলকে জয়ের নাগালে রেখেই ২২ গজ ছাড়েন এই ক্রিকেটার। কিন্তু মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় প্রথম ম্যাচ হার দিয়ে শুরু করতে হল টাইটানসের।
আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে রংপুরকে টেনে নেন রাইলি রুশো। শুরুতে ধুঁকলেও রবি বোপারার সঙ্গ পেয়ে খোলস খোলেন এ বাঁহাতি ওপেনার। ৫২ বলে ৮ চার ও দুই ছক্কায় ৭৬ রানে অপরাজিত থাকেন এ সাউথ আফ্রিকান ক্রিকেটার।
বোপারা ২৯ বলে করেন অপরাজিত ৪০ রান। তাদের অবিচ্ছিন্ন ১০৪ রানের জুটিতে বড় মজবুত ভিতের উপর দাঁড়ায় রংপুর। শেষ ৬ ওভারে যোগ হয় ৭৫ রান।