চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

নাগরিকত্ব আইন নিয়ে সহিংসতায় বাড়ছে নিহতের সংখ্যা

ভারতের নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইনের প্রতিবাদে চলমান বিক্ষোভের মুখে উত্তরপ্রদেশে হওয়া সংঘর্ষে শুক্রবার ৯ বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে ওই রাজ্যে বিক্ষোভ সংশ্লিষ্ট নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১তে।

কিন্তু পুলিশ মৃত্যুর বিষয়টি স্বীকার করলেও উত্তরপ্রদেশ পুলিশের মহাপরিচালক ও পি সিং দাবি করেছেন, পুলিশের গুলিতে কোনো বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়নি। ‘আমরা একটা বুলেটও ছুড়িনি,’ বলেন তিনি।

এমনকি আরেক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘যদি গোলাগুলির কোনো ঘটনা ঘটে থাকে, তবে তা ঘটেছে বিক্ষোভকারীদের পক্ষ থেকে।’

পুলিশের বরাতে এনডিটিভি জানিয়েছে, শুক্রবার পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বিজনরে ২ জন এবং সমভাল, ফিরোজাবাদ, মিরাট ও কানপুরে ১ জন করে আন্দোলনকারী নিহত হন। সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলেও জানানো হয়েছে।

যে কোনো ধরনের সহিংসতা ঠেকাতে শুক্রবার জুমআর নামাজের আগে থেকেই কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। কিন্তু এরপরও নামাজের পর ১৪৪ ধারাসহ অন্যান্য নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে উত্তরপ্রদেশের ১৩টি জেলায় বিক্ষোভ শুরু করেন আন্দোলনকারীরা।

পুলিশ বিশালাকার ওই জনস্রোত ঠেকাতে চেষ্টা করলে ভিড়ের মধ্য থেকে পাথর ও ইট-পাটকেল ছুড়তে শুরু করে লোকজন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তখন লাঠিচার্জ এবং টিয়ারগ্যাস ব্যবহার শুরু করে পুলিশ।নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন-নিহতের সংখ্যা

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসি’র প্রতিবাদে রাজধানী নয়াদিল্লিসহ বিক্ষোভে উত্তাল ভারতের বিভিন্ন রাজ্য। আইনটির প্রতিবাদে প্রায় এক সপ্তাহ আগে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল আসাম, মেঘালয় আর ত্রিপুরায়। আইনটির বিরুদ্ধে রোববার রাতে দিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের সময় পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হলে সোমবার বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে।

রাষ্ট্রপতির কাছে আইন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধীসহ বিরোধীদলীয় নেতারা।

তবে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে সরকার অনড় বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিক্ষোভকারীরা সরকারি সম্পত্তিতে কোনো ধরনের সহিংসতা চালালে দেখামাত্রই গুলির নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী সুরেশ অঙ্গদি।