নাটকীয়তায় ভরা ম্যাচে বেক্সিমকো ঢাকাকে ২ রানে হারিয়ে বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি কাপে শেষ চার নিশ্চিত করেছে ফরচুন বরিশাল। বিফলে গেছে ঢাকার ওপেনার নাঈম শেখের প্রথম সেঞ্চুরি। লিগ পর্বের শেষ ম্যাচটি জিতলে প্রথম কোয়ালিফায়ার খেলার সুযোগ ছিল মুশফিকুর রহিমের দলের।
ঢাকা-বরিশাল আবার মুখোমুখি হবে এলিমিনেটর ম্যাচে। জেমকন খুলনা রান রেটে এগিয়ে থাকায় খেলবে প্রথম কোয়ালিফায়ার। সাকিব-তামিম-মাশরাফীদের প্রতিপক্ষ সর্বোচ্চ ১৪ পয়েন্ট নিয়ে কোয়ালিফায়ার আগেই নিশ্চিত করে ফেলা সৌম্য-লিটনদের গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। দুটি ম্যাচই আগামী সোমবার।
১৯৪ রানের বড় লক্ষ্য দিয়েও বরিশাল বোলারদের স্বস্তিতে থাকতে দেননি নাঈম। শুরুতে ধীরগতিতে খেলা এ বাঁহাতি ওপেনার বিধ্বংসী হন ফিফটি ছোঁয়ার পর। প্রথম পঞ্চাশ করেন ৪৩ বলে, পরের পঞ্চাশ মাত্র ১৭ বলে। ৬০ বলে তিন অঙ্কে পৌঁছান এ হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান।
বরিশাল: ১৯৩/৩ (২০ ওভার), ঢাকা: ১৯১/৬ (২০ ওভার)
৬৪ বলে ১০৫ রানের ইনিংস খেলে নাঈম আউট হওয়ার পর রান তোলার গতি কমে যায় ঢাকার। শেষ পর্যন্ত লড়াকু ক্রিকেটে খেলে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৯১ রানে থামে তারা। নাঈমের ইনিংসে ছিল ৮টি চার ও ৭টি ছয়ের মার।
ইয়াসির আলি করেন ৪১ রান। দুজন চতুর্থ উইকেট জুটি যোগ করেন ১১০ রান।
দারুণ বোলিং করেছেন সোহরাওয়ার্দী শুভ। বঙ্গবন্ধু কাপে প্রথমবার একাদশে সুযোগ পেয়েই নেন তিন উইকেট। ৩ ওভারে দেন মাত্র ১৩ রান। সুমন খান ও কামরুল ইসলাম রাব্বি নেন একটি করে উইকেট।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে আফিফ হোসেন ধ্রুব ও তৌহিদ হৃদয়ের অসাধারণ ফিনিশিংয়ে ১৯৩ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে বরিশাল। তিন তরুণ ব্যাটসম্যান পেয়েছেন ফিফটি।
ওপেনার সাইফ হাসান ৫০ রান করে আউট হন। তৌহিদ ৫১ ও আফিফ ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন। চতুর্থ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন জুটিতে তারা মাত্র ৩৮ বলে যোগ করেন ৯১ রান। রুবেল হোসেন, মুক্তার আলি ও আল-আমিন নেন একটি করে উইকেট।
পাঁচ দলের আসর থেকে বিদায় নিয়েছে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। আট ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৪। বরিশাল ৬, খুলনা ও ঢাকা সমান ৮। আর চট্টগ্রামের পয়েন্ট ১৪।