কাশিমপুর কারাগার থেকে মুফতি রাহমানির নির্দেশে ব্লগার অভিজিৎ ও ব্লগার অনন্তকে হত্যা করে আনসার উল্লাহর একই স্লিপার সেলের ৬ জঙ্গি।
দুই খুনের পরিকল্পনাকারীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। দুই খুনেরই পরিকল্পনাকারী এক বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক, মুফতি রাহমানীর অনুপস্থিতিতে আনসার উল্লাহ টিম এতাদিন তার নিয়ন্ত্রণেই ছিলো।
যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী প্রকৌশলী, ব্লগার অভিজিৎ রায় এবং সিলেটের ব্যাংক কর্মকর্তা ও ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ হত্যা মামলার তদন্তের গতি যখন কিছুটা কমে এসেছিলো, ঠিক তখনই র্যাবের জালে আটক হলো মুল পরিকল্পনাকারী ও অর্থ যোগানদাতাসহ ৩ জঙ্গি।
জিজ্ঞাসায় জঙ্গিরা জানায়, কারাগারে বসেও নেটওয়ার্ক পরিচালনা করছে মুফতি রাহমানি। ব্লগার অভিজিৎ ও অনন্ত হত্যার নির্দেশনাও আসে কারাগার থেকেই। অভিজিৎ হত্যার দু ঘন্টা আগে চূড়ান্ত পরিকল্পনা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুহসিন হলের মাঠে বসে।
র্যাবের পরিচালক কমান্ডর মুফতি মাহমুদ খান বলেন, তারা প্রায় দেড় ঘন্টা পূর্বে মেলা স্থলে যায়। তারা ভেতরে থেকেই অভিজিৎ ও তার স্ত্রীর গতিবিধি লক্ষ্য করতে থাকে। মেলা থেকে বের হলে নাইম এবং রমজান ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে অভিজিৎকে হত্যা করে।
তারা মোট পাঁচজন ছিলো। এরা হলেন নাইম, রমজান, সাদেক, জাফরান এবং জুলহাস। এদের মধ্যে সাদেক ব্যতিত অন্য সকলে পলাতক আছে।
জঙ্গিদের অর্থের যোগানদাতা আটক বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক তৌহিদই হত্যার পরিকল্পনাকারী বলে জিজ্ঞাসায় জেনেছে র্যাব।
তিনি আরও বলেন, জসিম উদ্দিন রাহমানির ছোট ভাই বাশার, জসিম উদ্দিনের অবর্তমানে আনসার উল্লাহ বাংলা টিমের সংগঠক হিসেবে কাজ করছে। সে বিভিন্ন অকেশনে জসিম উদ্দিনের সাথে কথা বলে। কথা বলে তারা হত্যার টার্গেট গুলো ঠিক করতো। তৌহিদুর রহমান এমন নির্দেশনা পাওয়ার পরে কিভাবে হত্যা করা যায় সে পরিকল্পনা করে।
অভিজিৎ হত্যা মামলার তদন্ত করছে ডিবি। আর ব্লগার অনন্ত বিজয় হত্যা মামলার তদন্ত সিআইডির হাতে। অভিজিতের মামলায় উগ্রবাদী ব্লগার ফারাবী ছাড়াও অনন্তের মামলায় আটক হয়ে কারাগারে আছে সিলেটের এক ফটো সাংবাদিক।