অ্যান্ডি মারের দুই মেয়ে খুবই ছোট। বড় মেয়ে সোফিয়ার বয়স ৩, আর ছোটজন এডির মাত্র ১৮ মাস। তাই বাবার এক অসাধারণ অর্জন চাক্ষুষ দেখা হয়নি দুজনের। তা নিয়ে ব্রিটিশ কিংবদন্তি টেনিস তারকার কিছুটা আক্ষেপ থাকলেও মনে ছিল প্রশান্তি। কারণ এখন থেকে মারের কন্যাদ্বয় নিজেদের পরিচয় দিতে পারবে একজন নাইটের মেয়ে হিসেবে!
বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের বাকিংহ্যাম প্যালেসে তিন গ্র্যান্ডস্লাম জয়ী মারেকে নাইটহুডে ভূষিত করেন প্রিন্স অব ওয়েলস চার্লস। ২০১৬ সালেই নাইটহুড পাওয়ার কথা থাকলেও ব্যস্ততার কারণে পিছিয়েছে, অবশেষে ‘স্যার’ উপাধি পেলেন মারে।
তিন বছর পর প্রাপ্তি অর্জনে বিন্দুমাত্র খেদ নেই মারের। বুধবার ৩৩’এ পা দেয়া টেনিস তারকার মতে একদিকে দেরি হওয়াতে ভালোই হয়েছে। নাইটহুডের মেডেল তো অন্তত দেখতে পারবে তার দুই মেয়ে।
‘আমি দুই মেয়েকে আনতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ওরা খুবই ছোট। বাসায় গিয়ে ওদের মেডেলটা দেখাতে চাই।’
নাইটহুড পেতে পারেন মারে, সেটা আন্দাজ করা যাচ্ছিল ২০১৩ সাল থেকেই। ব্রিটিশদের ৭৭ বছরের আক্ষেপ ঘুচিয়ে সেবছর ছেলেদের উইম্বলডন জেতেন মারে। ২০১৬ সালে আবারও ঘাসের কোর্টের শিরোপা ধরা দেয় তার হাতে। সে বছর জেতেন অলিম্পিক সোনাও। বছর শেষ করেন র্যাঙ্কিংয়ে সবার উপরে থেকে।
তবে সামনের মৌসুম থেকে হয়তো টেনিস কোর্টে আর দেখা যাবে না মারেকে। পুরনো শত্রু চোটের কাছে হার মেনে চলতি বছর অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের আগে ঘোষণা দিয়েছেন, হয়তো কোর্টে আর নাও দেখা যেতে পারে তাকে! বর্তমানে চোট পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে ব্রিটিশ কিংবদন্তিকে।