চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ভারতে নব্য জেএমবি’র ৪ সদস্য গ্রেপ্তার

ইসলামিক স্টেট (আইএস) অনুপ্রাণিত বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবি-র চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা পুলিশের এসটিএফ।

তারা হলেন: মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান ওরফে মহসিন, মামুনুর রশিদ, মোহাম্মদ শাহিন আলম ওরফে আলামিন এবং রবিউল ইসলাম।

পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে মহসিন, মামুনুর ও আলামিন বাংলাদেশের নাগরিক। রবিউল পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের নয়াগ্রামের বাসিন্দা।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সকালে শিয়ালদহ স্টেশনের পার্কিং এরিয়া থেকে মহসিন ও মামুনুরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত এই দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ আরও দু’জনের খোঁজ পায়। পরে হাওড়া স্টেশন থেকে আলামিন ও রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, তাদের কাছ থেকে ছবি ও ভিডিওসহ মোবাইল ফোন, আইএস মতাদর্শের বেশ কিছু প্রচার পুস্তিকা ও পত্রিকা পাওয়া গেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, কলকাতা সহ ভারতের নানা প্রান্ত থেকে টাকা সংগ্রহ করে সেগুলো জঙ্গি কার্যকলাপে ব্যবহার করত তারা। শুধু তাই নয়, সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে জঙ্গি নিয়োগ ও জেহাদি কার্যকলাপ চালাতো। জেহাদ সংক্রান্ত প্রচুর ডিজিটাল নথিও পাওয়া গেছে তাদের কাছ থেকে।  মঙ্গলবার তাদেরকে আদালতে হাজির করার কথা রয়েছে। এসটিএফ-এর জয়েন্ট সিপি শুভঙ্কর সিংহ জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারকৃতদের রিমাণ্ডে চাইবেন তারা।

গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে তারা জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত। বাংলাদেশে ধরপাকড় চলার কারণে তারা ভারতে পালিয়ে যায়।

সম্প্রতি আইএস জঙ্গিগোষ্ঠী তাদের মুখপত্র আমাখ নিউজে বাংলায় এক বিবৃতি জারি করে দাবি করে: খুব শীঘ্রই বাংলায় তারা আসছে। গোয়েন্দাদের ধারণা পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশ এই দুই বাংলাতেই নব্য জেএমবি পুনরায় নতুন করে ঘাঁটি তৈরির চেষ্টা করছে। শুধু তাই নয়, আইএস-এর প্রত্যক্ষ সাহায্যে নব্য জেএমবি নতুন ‘আমির’ বা সংগঠনের প্রধান নির্বাচন করে কলকাতায় সংগঠন তৈরি করার চেষ্টাও করছে তারা।

পুলিশ জানিয়েছে: বর্ধমানের খাগড়াগড় বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত ছিল নব্য জেএমবির শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশ। সেই সময় অবিভক্ত জেএমবি ছিল। অবিভক্ত জেএমবি-র সুরা কমিটির সদস্য হাতকাটা নাসিরুল্লা। খাগড়াগড় মডিউলের অত্যনতম সদস্য ছিল সে। পুলিশ জানিয়েছে, পরবর্তীকালে আদর্শগত মতপার্থক্যের কারণে নাসিরুল্লা এবং জেএমবির বেশ কিছু সদস্য আইএস মতাদর্শী হয়ে নব্য জেএমবি তৈরি করে। তবে নাসিরুল্লা ইতিমধ্যে বাংলাদেশ পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে।