চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

নবমবারের মতো শুরু ‘চ্যানেল আই প্রকৃতি মেলা’

খাঁচায় বন্দি টিয়া, ময়না, শালিক উড়িয়ে উদ্বোধন ঘোষণা করা হয় ‘পিএল জি চ্যানেল আই প্রকৃতি মেলা ২০২০’

পৌষের সকাল। আকাশটা কিছুটা মেঘলা। সঙ্গে ছিল মৃদু বাতাস। এমন সকালে চ্যানেল আইয়ের প্রাঙ্গন মেতে উঠে ঢাকের শব্দে। এরপরেই প্রকৃতিকে নিয়ে নানা গানের সঙ্গে পরিবেশিত হয় দলীয় নৃত্য। বুঝতে বাকি থাকে না কারো, এটি চ্যানেল আই প্রকৃতি মেলার আয়োজন!

নৃত্যে-গানে অনুষ্ঠান শুরুর পর পরই দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের বক্তব্য শেষে খাঁচা বন্দি টিয়া, ময়না, শালিক উড়িয়ে উদ্বোধন ঘোষণা করা হয় নবম ‘পি এল জি চ্যানেল আই প্রকৃতি মেলা ২০২০’।

প্রকৃতিবিষয়ক নানা অনুষঙ্গের মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা অব্যাহত রাখতে প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন এই আয়োজন করেছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, চ্যানেল আইয়ের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, প্রকৃতিবিদ, প্রকৃতিপ্রেমীসহ দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের একদম শুরুতেই বক্তব্য রাখেন ইমপ্রেস গ্রুপ ও চ্যানেল আই-এর ভাইস চেয়ারম্যান, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু।

এসময় তিনি বলেন যে, প্রতি বছরের মত এবছরও অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চ্যানেল আই প্রকৃতি মেলা। নবমবারের মতো এই মেলায় সবাইকে স্বাগতম। প্রকৃতি আমরা সবাই ভালবাসি, কিন্তু সত্যি বলতে আমরা মাঝে মাঝে আমাদের নানা ব্যস্ততার কারণে প্রকৃতির প্রতি আমাদের এই ভালবাসার কথা ভুলে যাই। আমাদের দেশটা কিন্তু ছোট, তবে সে তুলনায় জনসংখ্যা অনেক বেশি। একই সাথে জীব বৈচিত্র্যও অনেক বেশি। সুতরাং, এই জীব বৈচিত্র্য যা ই আছে আমাদের তাঁকে ধরে রাখতে আমাদের পরিবেশ নিয়ে আরো সচেতন হতে হবে। এই মেলা মূলত সেই সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য আয়োজিত হয়ে থাকে।

যে যার অবস্থান থেকে প্রকৃতি রক্ষায় কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, মানুষ বাড়ার সাথে সাথে মানুষের হিংস্র থাবা প্রকৃতির উপর পড়ছে। যে দেশে মানুষের ঘনত্ব পৃথিবীতে সর্বোচ্চ, সেখানে প্রকৃতি প্রচণ্ড হুমকির মুখে। চ্যানেল আই আয়োজিত প্রকৃতি মেলা প্রতিবছর আয়োজন করার মাধ্যমে সমাজের প্রতিটি স্তরে সচেতনতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বর্তমানে আমরা প্রকৃতির প্রতি যে বৈরী আচরণ করছি তা আমাদের নিজেদের জীবনের জন্যই হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুতরাং আমাদের নিজেদের আগে সচেতন হতে হবে। তবেই আমরা ভাল রাখতে পারব আমাদের এই সবুজ বাংলাদেশকে।

প্রকৃতি নিয়ে সারা বছর জনসচেতনতা তৈরী করায় প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনকে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রশংসা করা উচিত বলেও মনে করেন তথ্যমন্ত্রী।

প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের পাশাপাশি সবাইকে পরিবেশ-প্রকৃতি রক্ষায় কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান বক্তারা।