চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

নবজাতককে বাঁচিয়ে রাখতে সব চেষ্টায় চিকিৎসকদল

ফরিদপুর থেকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় আনা নবজাতকটিকে বর্তমানে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

শিশুটির অবস্থার কতোটুকু উন্নতি হয়েছে এ ব্যাপারে চ্যানেল আই অনলাইনের সঙ্গে কথা হয় হাসপাতালের চিকিৎসকদের। স্কয়ার হাসপাতালের নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (এনআইসিইউ)’র ডাক্তার মাসুদা বলেন, শিশুটি এখন লাইফ সাপোর্টে রয়েছে, এখনই ওর অবস্থার উন্নতি নিয়ে কোনো কিছু বলা যাচ্ছে না, রক্তের বেশ কয়েকটি পরীক্ষা করাতে হবে।

ডাক্তার মাসুদা বলেন, নির্ধারিত সময়ের আগে ভূমিষ্ঠ হওয়ায় শিশুটির এক প্রকারের শঙ্কা রয়েই গেছে। তাকে বাঁচিয়ে রাখতে চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত খবর দেখে শিশুটিকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় আনা থেকে শুরু করে হাসপাতালে চিকিৎসা পর্যন্ত সব কিছুর দেখভাল করছেন ‘আমরা নেটওয়ার্কস’ এর প্রধান বিপণন কর্মকর্তা সোলায়মান সুখন।

তিনি চ্যানেল আই অনলাইনকে জানান, ‘শিশুটিকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় আনার পর স্কয়ার হাসপাতালের ইনকিউবেটর ইউনিটে ভর্তি করা হয়।

হেলিকপ্টার থেকে স্কয়ারে হাসপাতালে ভর্তি পর্যন্ত সঙ্গে ছিলেন জানিয়ে সুখন বলেন, শিশুটির আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে কথা হয়েছে। শিশুটির জন্য সকল ব্যয়ভার বহন করেছেন আমার এক হাঙ্গেরিপ্রবাসী বন্ধু আর এক পাইলট বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগের পর ও হেলিকপ্টার চালিয়ে ঢাকায় শিশুটিকে নিয়ে আসে। শিশুটির জীবন বাঁচাতে যেকোন সহযোগিতায় আমরা পাশে থাকব এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

‘আল্লাহ তায়ালা চাইলে আমাদের এ উদ্যোগ সফল হতে পারে। প্রত্যাশা একটাই, শিশুটি যেন বেঁচে থাকে।’

ফরিদপুরের ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসাপাতালে বুধবার মধ্যরাতে নাজমুল হুদা মিঠুর স্ত্রী অ্যাডভোকেট নাজনিন আক্তার হাসপাতালের ওটিতে একটি কন্যা শিশু প্রসব করেন। জন্ম নেওয়া নবজাতক কন্যা শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন গাইনি ডাক্তার রিজিয়া আলম।

পরে শিশুটির দাদা আবুল কালাম নবজাতককে একটি কার্টনে ভরে স্থানীয় আলীপুর কবরস্থানে দাফনের জন্য নিয়ে যান। রাতে কবর দিতে না পেরে কার্টনটি দেওয়ালে ঘেরা একটি কবরের মধ্যে রেখে আসেন। খুব সকালে গোরস্থানে লোকজন ও পরিবারের সদস্যরা নবজাতককে দাফনের জন্য কার্টন থেকে বের করতে গেলে শিশুটি নড়াচড়া ও শব্দ করে। তখন শিশুটিকে উদ্ধার করে ওই হাসপাতালেই ফিরিয়ে নিয়ে ইনকিউবেটরে রাখা হয়। নবজাতকের উন্নত চিকিৎসার জন্য পরে তাকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় আনা হয়।

বর্তমানে নবজাতকটিকে বাঁচাতে চিকিৎসকদল আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে।