পারিবারিক পূর্ব বিরোধের জের ধরে মাগুরা সদর উপজেলার বারাশিয়া গ্রামে মাহিদ হোসেন (৭) নামে এক শিশুকে নদীতে ডুবিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ নিকটআত্মীয়রা।
এ ঘটনায় নিহত মাহিদের চাচাতো ভাই রোহান (১৬) ও রোহানের বাবা আসলাম মোল্যাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নিখোঁজের ৫ দিন পর বারাশিয়া এলাকার নবগঙ্গা নদী থেকে মাহিদের ক্ষত বিক্ষত লাশ উদ্ধার করেছে ডুবুরিরা।
মাহিদ বারাশিয়া গ্রামের মুজিবুর রহমান মোল্যার ছেলে। সে বারাশিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণীর ছাত্র ছিল। এ ঘটনায় নিহত মাহিদের চাচাতো ভাই রোহান (১৬) ও রোহানের বাবা আসলাম মোল্যা গ্রেপ্তার হয়েছে। তারা হত্যার দায় স্বীকার করে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
নিহতের বাবা মুজিবুর রহমান জানান, ৩ বছর আগে পারিবারিক একটি বিষয় নিয়ে চাচাতো ভাই আসলাম মোল্যার সাথে বিরোধ হয় মুজিবর রহমানের। এই বিরোধের প্রতিশোধ নিতে আসলাম মোল্যা ও তার ছেলে রোহান পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বুধবার সকালে মাহিদকে স্থানীয় নবগঙ্গা নদীতে নিয়ে যায়। সেখানে একটি তালের ডিঙ্গার সাথে হাত বাধা অবস্থায় মাহিদকে বেধে ডুবিয়ে দেয়।
অন্যদিকে মাহিদকে না পেয়ে ওই দিন রাতে মাগুরা সদর থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন মুজিবুর রহমান।
পরদিন মাহিদের নানা দুলাল হোসেনের কাছে মোবাইল ফোনে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবী করা হয়।
বিষয়টি পুলিশকে জানালে মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে রোহানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় রোহান হত্যার দায় স্বীকার করে পুলিশের কাছে ঘটনার বর্ণনা দেয়।
যার সূত্র ধরে পুলিশ নবগঙ্গা নদীতে দমকল বাহিনীর ডুবুরিদের মাধ্যমে দুই দিনের তল্লাশী শেষে আজ রোববার দুপুর ২টায় লাশ উদ্ধার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় রোহান ও রোহানের বাবা আসলাম মোল্যাকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্যে মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত মাহিদের বাবা সদর থানায় এ ব্যাপারে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।