নদীকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এমন কোনো কিছুতে আদালত বিবেচনা করবে না বলে রায় দিয়েছে হাইকোর্ট।
বুড়িগঙ্গা ও তুরাগের তীরে গড়ে তোলা ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য আসলামুল হকের মালিকানাধীন মাইশা গ্রুপের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উচ্ছেদ কার্যক্রম চ্যালেঞ্জ করে করা রিটের রুল খারিজ করে বুধবার রায় দেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম এবং বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চের দেওয়া এই রায়ে বলেছেন, ‘নদীর উপর আমাদের নির্ভরতা অনেক। নদীকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এমন কোনো কিছু আদালত বিবেচনা করবে না। নদীকে যে কোনোভাবে রক্ষা করতে হবে এবং নদী কমিশনের রিপোর্টকে গুরুত্ব দিতে হবে।’
এছাড়া আজকের রায়ে বলা হয়েছে, ‘সিএস (ক্যাডাস্ট্রাল সার্ভে) রেকর্ডকে নদীর সীমানা বিবেচনা করতে হবে। আর এই রিটের বাদীর দাবির বিষয়টি বিরোধপূর্ণ। রিটের রুলটি খারিজ করা হল।’
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. ওজি উল্লাহ। জাতীয় নদী কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। আর বিআইডব্লিউটিএর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী কামরুন্নাহার দিপা।
আজকের রায়ের ফলে বিআইডব্লিউটিএ চাইলেই সংসদ সদস্য আসলামুল হকের মাইশা গ্রুপের তিনটি প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ করতে পারে বলে জানান জাতীয় নদী কমিশনের পক্ষের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
এই আইনজীবী বলেন, ‘আমি চাইব বিআইডব্লিউটিএ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উচ্ছেদ কাজ শুরু করবে এবং নদীর জায়গা দখলমুক্ত করবে।’
তবে রিটের পক্ষের আইনজীবী মো. ওজি উল্লাহ বলেছেন, ‘চাইলেই বিআইডব্লিউটিএ উচ্ছেদ করতে পারবে না। কারণ আমাদের রিট আবেদনে কোনো নিষেধাজ্ঞা বা স্থিতাবস্থা দেয়নি হাইকোর্ট। বিরোধপূর্ণ জমির বিষয়ে প্রতিকারের জন্য দেওয়ানী আদালতে যেতে বলেছেন। রায় অনুযায়ী আমারা দেওয়ানী আদালতে যাব। আর এই রায়ের বিরুদ্ধেও আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে।’