নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিস্কারের জন্য আগামী ৫ বছরে একশ অনুসন্ধান কূপ খনন করবে রাষ্ট্রীয় তেল-গ্যাস অনুসন্ধ্যান ও উত্তোলন কোম্পানি বাপেক্স। তবে জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বাপেক্সের একার পক্ষে এতো কূপ খনন করা সম্ভব নয়।
জানা গেছে, দেশের ২৭টি প্রাকৃতিক গ্যাস ক্ষেত্র থেকে শিল্পের জন্য প্রতিদিন তিনশ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। কিন্তু, শিল্পে গ্যাসের দৈনিক চাহিদা প্রায় ৫‘শ মিলিয়ন ঘনফুট। এমন অবস্থায় সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা অনুযায়ী শিল্পখাতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির চ্যালেঞ্জ বিষয়ে ঢাকা চেম্বার অব কমার্সের সেমিনারে।
তবে, সংকট সমাধানে পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা। প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানী উপদেষ্টা তিনি বলেন, আমরা পরবর্তি পাঁচ বছরে একশটি কূপ খননের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের যে কার্যক্রম চলছে তাতে পরবর্তি প্রতিবছর ২০ টি করে কূপ খনন করা যাবে।
সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেছেন, গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধ্যানের জন্য প্রতি বছর ২০ টির বেশি কূপ খনন করার ক্ষমতা বাপেক্সের নেই। জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক বদরুল ইসলাম, এখন থেকে যদি বলেন, প্রতি বছর ১০ টি কূপ খনন করবো! এটা কী প্রতিবছর বাপেক্স বা পেট্রোবাংলা বের করে দিতে পারবে? এর পরের বছর যদি আবার ১০ টি চাওয়া হয় তবে কেউই বের করে দিতে পারবে না।
শিল্পের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে বিকল্প জ্বালানির উপর গুরুত্ব দেওয়ার কথাও বলেছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা।