গেল মার্চে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছিল ফ্রান্সে। বহু চেষ্টার পর কিছুদিন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও নতুন করে সংক্রমণ বাড়ায় আবারও লকডাউনের কথা ভাবছে কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার একদিনেই দেশটিতে আক্রান্ত শনাক্ত হয় ৭ হাজার ৩৭৯ জন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৬৭ হাজার ছাড়ালো।
৩১ মার্চের পরে এটাই ফ্রান্সে একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্ত শনাক্তের সংখ্যা। ওইদিন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছিলো ৭ হাজার ৫৭৮ জন।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিষয়টিকে ‘তাৎপর্যপূর্ণ বৃদ্ধি’ বলছে। এর আগে বৃহস্পতিবার আক্রান্ত শনাক্ত হয় ৬ হাজার ১১১ জন এবং আগের দিন বুধবার ৫ হাজার ৪২৯ জন।
গতকাল শুক্রবার ২০ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে ফ্রান্সে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজার ৬০০ জন।
তবে এই পরিসংখ্যান প্রকাশের আগে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছিলেন, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে দ্বিতীয়বার লকডাউন উপেক্ষা করা যায় না। তবে তিনি সেই সব নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে যেতে চান যেগুলো দেশের নাজুক অর্থনৈতিক অবস্থাকে ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করছে।
একটি ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে নিষ্ঠুরতম উপায় ‘দমন’ উল্লেখ করে তিনি সবাইকে একত্রিতভাবে কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান।
গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বব্যাপী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ৮৪ হাজার মানুষ। মৃত্যুবরণ করেছে ৫ হাজার ৬৯৫ জন।
এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৪৯ হাজার ৬০০ জন, মৃত্যুবরণ করেছে ১ হাজার ১০৫ জন। ভারতে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৭৬ হাজার ৬৬৫ জন আর প্রাণ হারিয়েছে ১ হাজার ১৯ জন। ব্রাজিলে আক্রান্ত হয়েছে ৪৮ হাজারের বেশি জন এবং প্রাণ হারিয়েছে ৮৬৮ জন।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। বর্তমানে সারাবিশ্বে ২ কোটি ৪৯ লাখ মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত আর প্রাণ হারিয়েছে ৮ লাখ ৪১ হাজারেরও বেশি মানুষ।