চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

নতুন বিতর্কে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন

সিঙ্গেল মায়েদের সন্তানদের দুর্বল, অজ্ঞ, আক্রমণাত্মক এবং অবৈধ হিসেবে অভিহিত করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

এমন মন্তব্যকে নারীদের প্রতি অন্ধকার মনোভাব বলে নতুন গবেষণামূলক নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে।

দ্য স্পেকটেটর কলামে টরি লিডার বলেছেন: আজকাল বিবাহিত দম্পতিরা সিঙ্গেল মাদার হওয়ার দিকে ঝুঁকছে। তারা পুরুষদের চেয়ে স্বাধীনভাবে চলার আকাঙ্খা থেকে বিবাহ বন্ধনকে অস্বীকার করছেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল শামি চক্রবর্তী অভিযোগ করে বলেন: ১৯৯৫ সালের একটি কলামে বরিস জনসন সিঙ্গেল মাদার এবং যৌন হয়রানির বিষয়ে বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আবার আলোচনাটি সামনে আসে।

বরিস জনসন ইতিমধ্যেই নানাভাবে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। তিনি অভিবাসনবিরোধিতায় কট্টর অবস্থান নিয়েছেন। সেই চিন্তাভাবনা থেকেই তিনি ব্রেক্সিটের পক্ষে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

৩১ অক্টোবরের মধ্যে প্রয়োজনে কোনো চুক্তি ছাড়াই ব্রিটেনকে ইইউ জোট থেকে বের করে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কনজারভেটিভ পার্টির ব্রেক্সিটপন্থী শিবিরের প্রিয়পাত্র হয়ে ওঠেন তিনি। তবে ব্রেক্সিট নিয়ে নিজের দল এবং গোটা দেশের রাজনীতিতে যে বিভেদ ও মতানৈক্য চলছে, তাতে এই সময়ের মধ্যে তিনি ব্রিটেনকে ইইউ থেকে বের করে আনতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

এটি যদি তিনি করতে না পারেন, তাহলে তার প্রধানমন্ত্রীত্বের মেয়াদ সংক্ষিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী বছর এই মাসে অর্থাৎ ২০২০ সালে তিনি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী থাকবেন কিনা, তা নিয়েও অনেকে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু বৈশ্বিক রাজনীতির যে ধারা বহমান রয়েছে, তা ক্রমেই রক্ষণশীলদের শক্তিশালী করছে।