গত দু’দিন দেশের পাইকারি বাজারগুলোতে আলু বিক্রি বন্ধ রেখেছিলেন ব্যবসায়ীরা। যে কারণে আরও বেড়ে খুচরা বাজারে আলুর দাম ঠেকেছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি। এমন পরিস্থিতিতে সরকার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসে দ্বিতীয় দফায় আলুর দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। নতুন দাম ঠিক করে দেওয়ার পর পাইকারি বাজারে ৩০ টাকা এবং খুচরা বাজারে ৩৫ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করতে হবে।
আমরা লক্ষ্য করেছি, দুই সপ্তাহ আগে যখন কৃষি বিপণন অধিদপ্তর হিমাগার পর্যায়ে কেজিপ্রতি ২৩ টাকা, পাইকারি বাজারে ২৫ টাকা এবং খুচরা বাজারে ৩০ টাকা নির্ধারণ করে দেয়; তারপর থেকেই আলু ব্যবসায়ীরা ক্ষুব্ধ ছিলেন। কেননা নানান অজুহাত দেখিয়ে তারা বলার চেষ্টা করছিলেন- সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে আলু বিক্রি করলে তাদের লোকসান গুনতে হবে।
অথচ সরকার হিসাব কষে দেখিয়েছে সাড়ে ১২ টাকায় কেনা আলুর দাম কখনই ৫০ টাকা হতে পারে না। ২৩ টাকা দরে বিক্রি করলেও তাদের লাভের ভাগ কম পড়ে না। কিন্তু ব্যবসায়ীরা তাতেই নাখোশ। সেদিন থেকে নানা কৌশলে বাজারে আলুর সরবরাহ কমিয়ে সরকারকে দ্বিতীয় দফায় আলুর দাম বাড়তে এক প্রকার বাধ্যই করেছে।
আমাদের প্রশ্ন নতুন দামে (৩৫ টাকা কেজি) বাজারে আলু কিনতে পাওয়া যাবে তো? কেননা পূর্ব অভিজ্ঞতা বলছে, বেঁধে দেওয়া দামে ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্য বিক্রি করেননি। পেঁয়াজ এবং চালের দাম তার সর্বশেষ উদাহরণ। সরকার ঘটা করে এই দুটি নিত্যপণ্যের দাম ঠিক করে দিয়েছিল; কিন্তু সেই দামে বাজার থেকে কিনতে পারেনি ক্রেতারা।
আমাদের শঙ্কা অতিমুনাফা লোভী ব্যবসায়ীরা আলুর ক্ষেত্রেও সেই পথ অবলম্বন করবেন। কারণ বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা শক্তিশালী নয়। সেই সুযোগটাই তারা নেন। আমাদের পরামর্শ শুধু দাম বেঁধে দিলেই হবে না। সেই দামে বিক্রি নিশ্চিত করতে হবে সরকারকেই। এ জন্য কঠোরভাবে বাজার মনিটর করতে হবে।