সরকারের সাথে তিন দফা আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর মঙ্গলবার ভারত বনধ্ এর ডাক দিয়েছে ভারতের চলমান কৃষি আন্দোলনের সংগঠনগুলো। সাধারণ মানুষের সমস্যা না করেই বনধ পালন করা হবে বলে জানিয়েছে ভারতীয় কিসান সংগঠন।
বিজেপি বিরোধী দলগুলো এরই মধ্যে কৃষকদের সমর্থনে এগিয়ে এসেছে। কিন্তু অবরোধ চলাকালীন কোনো রাজনৈতিক দলকেই মঞ্চে ওঠার অনুমতি দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন কৃষকরা।
প্রায় তিন মাস ধরে বিতর্কিত কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন ভারতের কৃষকরা। প্রথমে পাঞ্জাবের মধ্যে আন্দোলন সীমাবদ্ধ ছিল। সপ্তাহ দুয়েক আগে তারা রাজধানীতে আসে। দিল্লি-পাঞ্জাব এবং দিল্লি-হরিয়ানা সীমানাতেও অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন হাজার হাজার কৃষক। উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ থেকেও দলে দলে কৃষক এসে যোগ দিয়েছেন এই আন্দোলনে।
বিক্ষোভ ঠেকাতে লাঠিচার্জ থেকে শুরু করে জলকামান ব্যবহার করেছে পুলিশ। দিল্লিতে শীতের মধ্যেও সেসব সহ্য করেছে কৃষকরা। পুলিশের মোকাবেলা করতে গিয়ে কখনও আন্দোলন হিংসাত্মক আকার ধারণ করেনি। তাই অবরোধ কর্মসূচিকে ঘিরে যাতে কোনো রকম অশান্তি দানা না হয়, সে ব্যাপারে তারা সচেতন রয়েছে।
সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে তর্কবিতর্ক এড়িয়ে বিতর্কিত কৃষি বিল পাস করিয়ে নেয় মোদি সরকার। তারপর গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করলে তা আইনে পরিণত হয়।
কিন্তু নতুন কৃষি আইনের বিরোধিতায় সারা ভারতে অচলাবস্থা তৈরি হবে, তা আঁচ করতে পারেনি কেন্দ্রীয় সরকার। তাই তিন মাস আগে পাঞ্জাবে আন্দোলন মাথাচাড়া দিলেও শুরুতে আমলে নেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার।
কিন্তু সেখান থেকেই আন্দোলন এখন ছড়িয়ে পড়েছে সারা ভারতে। আন্দোলনের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার ভারত বনধের ডাক দেয় চলমান কৃষক আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।