জনবান্ধব, নারী-শিশুবান্ধব এবং প্রগতিবান্ধব পুলিশি ব্যবস্থা এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে সচেষ্ট থাকবেন জানিয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেছেন, দরিদ্র বা অনগ্রসর শ্রেণীর কাছে পুলিশিসেবা ও থানায় সেবার মান বৃদ্ধিতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর পুলিশ সদর দপ্তরে নতুন আইজিপি দায়িত্ব নেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে পরিচিতিমূলক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সামগ্রিক পুলিশিংয়ের মান বাড়াতে জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, ইন্টেলিজেন্স লেড পুলিশিং, তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা এবং তদারকি বাড়ালে পেশাদারী কাজগুলো গুরুত্ব পাবে। এ জন্য আমরা কমিউনিটি পুলিশিং, বিট পুলিশিং ও গণমুখী পুলিশিংকে আমরা গুরুত্ব দিব।
তিনি বলেন, সাইবার ক্রাইম, অনলাইন বা সোশ্যাল মিডিয়া বা অন্য কোনভাবে তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহার করে দেশে কৃত্রিম সংকট তৈরি করা বা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির ক্ষেত্রগুলিকে আমরা পেশাদারিত্বের সঙ্গে মোকাবিলা করব।
সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে পুলিশের পদক্ষেপ প্রসঙ্গে পুলিশের নবনিযুক্ত মহাপরিদর্শক বলেন, সাইবার অপরাধ দমনে পুলিশ, র্যাব, সিআইডি, সিটিটিসি, পিবিআই, ডিবি সবার বিশেষায়িত ইউনিট রয়েছে। কিন্তু আমরা এতে সন্তুষ্ট না, সাইবার অপরাধ যেভাবে ছড়াচ্ছে তাতে করে আমাদের কাজ আরও বিস্তৃত করতে হবে এবং সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে।
জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের পুলিশ ইতিমধ্যে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে। জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে আমাদের আটজন সদস্য আত্মত্যাগ করেছে, অনেকেই গুরুতর আহত হয়েছে।
পুলিশের কোন ব্যক্তির অপরাধের দায় ডিপার্টমেন্ট নিবে না জানিয়ে আইজিপি বলেন, পুলিশের দুইলক্ষ সদস্যের মধ্যে গুটি কয়েক বিপথগামী সদস্যের অপেশাদার আচরণের জন্য আমাদের মাঝে মধ্যে বিব্রত অবস্থায় পড়তে হয়। এ বিষয়ে আমাদের নীতি হবে ‘জিরো টলারেন্স’।
পুলিশের যেসব সদস্য অপরাধে জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের আইন ও দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকে।
আইজিপি বলেন, আমরা সরকারের ভিশন ২০২১ ও ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নের উপযোগী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিশ্চিতকল্পে সুনির্দিষ্ট কর্ম পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাব।