জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. নজিবুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্যসচিব পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। রোববার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনস্বার্থে জারি করা এই আদেশ দ্রুত কার্যকর হবে।
নজিবুর রহমান এই দায়িত্বে কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীর স্থলাভিষিক্ত হলেন, যার চুক্তির মেয়াদ আজ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হচ্ছে।মুখ্য সচিব হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যাবাদ জানিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন:
‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে তার মুখ্য সচিব হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেছেন। জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী, দেশরত্ম, ‘মাদার অব হিউমিনিটি’ এর সরাসরি তত্ত্বাবধানে কাজ করার জন্য এটি একটি বিরল সুযোগ। এ সুযোগ প্রদানের জন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে জানাচ্ছি বিনম্র শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য দিক নির্দেশনা এবং মাননীয় অর্থমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর প্রাজ্ঞ তত্ত্বাবধান এবং সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থা এবং মাঠ প্রশাসনসহ সকল অংশীজনদের সহায়তায় উদ্ভাবনী পদ্ধতিতে আমরা সারাদেশে রাজস্ব এবং ব্যবসা-বিনিয়োগ বান্ধব সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠায় সাফল্য অর্জন করেছি।
সুশাসন ও আধুনিক ব্যবস্থাপনা কাঠামোর আওতায় রাজস্ব আহরণে সাফল্য টি-টুয়েন্টি ম্যাচ জয়ের মত। জনকল্যাণে সংগৃহীত রাজস্বের সদ্ব্যবহার করে ‘রূপকল্প ২০২১’ ও ‘রূপকল্প ২০৪১’ বাস্তবায়নে আমাদেরকে টেস্ট ক্রিকেটের মত সকলকে নিয়ে টীম ওয়ার্ক করতে হবে এবং বহুদুর যেতে হবে। এ যাত্রা আমাদের জয়যাত্রা হবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। এজন্য সকলের অব্যাহত সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করছি।’
মুখ্য সচিবের পদটি মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সমমর্যাদার। ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স অনুযায়ী, তারা একই পদ মর্যাদার হলেও ক্রম অনুযায়ী মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পরে মুখ্যসচিবের নামটি থাকে। একই পদমর্যাদার হলেও সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী প্রধানের নাম থাকে তাদের পরে।
১৯৮২ সালে নিয়মিত ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা নজিবুর রহমান অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে আসার আগে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় এবং পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ছিলেন। এছাড়া তিনি পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের দায়িত্বেও ছিলেন।
নজিবুর রহমান ১৯৬০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সুনামগঞ্জের ছাতকে জন্মগ্রহণ করেনন। তার চাকরির মেয়াদ আছে পুরো ২ বছর। তিনি অবসরত্তোর ছুটিতে যাবেন ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর।