কাজী নজরুলের সৃষ্টি আমাদেরকে মুক্তিযুদ্ধে যেভাবে অনুপ্রাণিত করেছে, ঠিক সেভাবে ২০১৭ সালেও তার সৃষ্টি থেকে আমরা অনুপ্রেরণা পাই। কোন সংকট কিংবা অন্ধকার আসলে আমরা নজরুলের কাছ থেকে আলোর সন্ধান করি। তাই যাবতীয় সংকট উত্তরণে নজরুলের অনুপ্রেরণাকে কাজে লাগাতে হবে।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৮ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে র্যালি উদ্বোধনের সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পৃথিবীর যে সংকট দেখছি তা দূর করতে হবে। এক্ষেত্রে জাতীয় কবি নজরুলের কবিতা, গান, গল্প আমাদের শক্তি যোগায়। তিনি সকল ধর্মের, সকল মানুষের কথা বলেছেন।
এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু মোঃ দেলোয়ার হোসেন, বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের সভাপতি ড. ফাদার তপন ডি রোজারিও। আন্তঃধর্মীয় ও আন্তঃসাংস্কৃতিক সংলাপ কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. ফাজরীন হুদা প্রমুখ।
র্যালি থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর জন্মদিনকে জাতীয়ভাবে ‘আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি দিবস’ ঘোষণা করার দাবি জানান।
বক্তারা বলেন, চরম দারিদ্র্য থেকে নজরুল সারা জীবন সংগ্রাম করেছেন অন্যায়, অবিচারের বিরুদ্ধে। তিনি অসাম্প্রদায়িক চেতনার কবি। চরম সাম্প্রদায়িক সময়ে থেকেও তিনি অসাম্প্রদায়িক ছিলেন। তাকে তৎকালীন সকল মৌলবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে হয়েছে। তিনি তারুণ্যের শক্তি ও প্রেরণা। বাংল সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথের যে ধারা সেটিকে নজরুল ভেঙেচুরে দিয়েছেন।
র্যালি শেষে ‘সম্প্রদায় ও সাম্প্রদায়িকতা সম্পর্কে নজরুলের বোঝাপড়া এবং বাংলাদেশের সম্প্রদায়-সংকট শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজম।