রাস্তার রোড ডিভাইডারে দাঁড়িয়ে নওয়াজ শরীফের গাড়ি বহর যাওয়া দেখছিলো নয় বছর বয়সী আহমেদ চুঘতাই। সেই সময়ই নওয়াজ শরীফের গাড়িগুলোর একটি ধাক্কা দেয় শিশুটিকে। তাতেই ঘটে দুর্ঘটনা। প্রাণ হারায় শিশুটি। শুক্রবার প্রাণ হারানো শিশুটির দাফন সম্পন্ন হয় শনিবার।
শিশুর মৃত্যুর ঘটনা সহ্য করতে পারেননি বাবা। ফলে হার্ট অ্যাটাক হয় তারও। পরে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পাকিস্তানের গুজরাটের এই শিশুটির মা এখন সন্তান হত্যার পুরো দায়ভার দিচ্ছেন নওয়াজ শরীফকেই। গুজরাটের ডিস্ট্রিক্ট পুলিশ অফিসার সোহেল ছাত্তা বলেন, ভিডিও ফুটেজ দেখে এরই মধ্যে ঘাতক গাড়িটিকে সনাক্ত করা হয়েছে। আক্রান্ত পরিবারটি নিশ্চয়ই ন্যায়বিচার পাবে।
পাকিস্তানের বেশ কিছু মন্ত্রীরাও অংশ নেন সেই শিশুটির শেষকৃত্যে। ষষ্ঠ গ্রেডে পড়ুয়া আহমেদ রোড ডিভাইডারের লেনে দাঁড়িয়ে ছিলো। নওয়াজ শরীফের গাড়িবহর যাওয়ার সময় সে হঠাৎই রাস্তায় চলে আসে। কিন্তু তাকে দেখেও গাড়ি থামায়নি সেই ঘাতক গাড়িটি।
এমনকি কিছু উদ্ধারকারী গাড়িও ছিলো সেই বহরে। কিন্তু তারাও দুর্ঘটনা ঘটার পরে গাড়ি থামায়নি। শিশুটির চাচা বলেন, ছেলেটা রাস্তায় পড়ে কাতরাচ্ছিলো কিন্তু কেউ তাকে সাহায্য করার জন্য থামেনি।
বিপদ যেন পিছু ছাড়ছে না পাকিস্তানের রাজনীতিবিদ নওয়াজ শরীফের। এই তো কদিন আগেই সুপ্রিম কোর্টের রায়ে অযোগ্য হয়ে পদত্যাগে বাধ্য হন পাকিস্তানের এই সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী।