এতদিন দলে তার জায়গা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সাহস পেতেন না কেউ। নিজেও ইঙ্গিত দিয়েছেন, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০১৯ বিশ্বকাপে খেলবেন। কিন্তু বিষয়টা এতটাও সহজ নয়। ভারতীয় দলে প্রতাপশালী সেই মহেন্দ্র সিং ধোনির গদি এখন টলমল।
ধোনির ব্যাপারে এমনটাই মত দিয়েছেন সেদেশের জাতীয় নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান এম এস কে প্রসাদ। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ধোনিকে পারফর্ম করতেই হবে। না–হলে বাধ্য হবেন বিকল্প খুঁজতে।
‘কিছুদিন আগেই আগাসির আত্মজীবনী পড়ছিলাম। ওর জীবনটা শুরুই হয়েছিল ৩০–এর পর থেকে। তার আগে পর্যন্ত দু’তিনটে গ্র্যান্ডস্লাম জিতেছিল। সবাই অবসর নিয়ে চাপ দিচ্ছিল। কিন্তু তিনি ৩৬ পর্যন্ত খেলেছেন এবং আরও অনেক গ্র্যান্ডস্লাম জিতেছেন। দলীয় খেলাও কারও জায়গা অটোমেটিক নয়। যদি কেউ পারফর্ম করতে পারে, থাকবে, না–হলে বিকল্প দেখতেই হবে।’- বলেছেন প্রসাদ।
এমনকী দল নির্বাচনের সময় ধোনিকে নিয়ে আলোচনাও হয়েছে জানিয়ে প্রসাদের বক্তব্য, ‘শুধু এমএস নয়, সবাইকে নিয়েই আলোচনা হয়। আগামী দিনগুলিতে সেটাই হবে।’
প্রসাদ জানিয়েছেন, ২০১৯ বিশ্বকাপের কথা ভেবে আগামী দলে রোটেশন পদ্ধতি চালু করতে চাইছেন। সেই পদ্ধতিরই অংশ হিসেবে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজে বিশ্রাম দেয়া হয়েছে যুবরাজ সিং, রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং রবীন্দ্র জাদেজাকে।
প্রথমে মনে করা হয়েছিল, যুবরাজকে বাদ দেয়া হয়েছে। কিন্তু প্রসাদ বলেছেন, ‘যুবরাজকে বিশ্রাম দেয়া হল। দরজা কারও জন্যেই বন্ধ হয়ে যায়নি। সবার ক্রিকেট খেলার অধিকার রয়েছে। কিন্তু দল নির্বাচনের সময় সেরা দলটাই বেছে নিতে হয়।’
তবে সাফ জানিয়েছেন, যত দিন যাবে, তত খেলোয়াড়দের ফিটনেসের ওপরে গুরুত্ব দেয়া হবে। ‘বিশ্বকাপে সাফল্য পেতে গেলে ফিটনেসে চূড়ান্ত শক্তিশালী একটা দল তৈরি করতে হবে। এটা এমন একটা মানদণ্ড যেটার ওপরে ভবিষ্যতে আমরা প্রচণ্ড গুরুত্ব দিতে চলেছি। ফিটনেসের কিছু যোগ্যতামান নির্ণয় করা হবে এবং সেগুলো সবাইকে কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।’