চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ধানমন্ডির ‘এইচটুও’ লাউঞ্জ থেকে নিষিদ্ধ সীসাসহ গ্রেপ্তার ৩

রাজধানীর ধানমন্ডির ‘এইচটুও’ লাউঞ্জে অভিযান চালিয়ে আইনের দৃষ্টিতে নিষিদ্ধ সিসাসহ তিন কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করেছে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. সুমন হাওলদার (২৬), মো. আল আমিন হোসেন (২১), মো. সোহাগ হোসেন (২০)। এসময় লাউঞ্জ থেকে ৭৫০ গ্রাম সিসা ও চার সেট হুক্কা মেশিন উদ্ধার করা হয়।

শনিবার রাতে আকস্মিকভাবে এ অভিযান চালানো হয় বলে চ্যানেল আই অনলাইনকে জানিয়েছেন মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ঢাকা মেট্রো অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ খোরশিদ আলম।

মোহাম্মদ খোরশিদ আলম বলেন, নতুন আইনে সীসাকে মাদক হিসেবে উল্লেখ করে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মদ পান করা নিয়ন্ত্রিত, কিন্তু সীসা নিয়ন্ত্রিত নয়। এটা সরাসরি নিষিদ্ধ। আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি এখনো নিয়মিতভাবেই ধানমন্ডি ৭/এ রোডের এইচটুও লাউঞ্জে নিষিদ্ধ মাদক সীসা বিক্রি হয়। তারপর অভিযানে গিয়ে লাউঞ্জে কোন সীসার অস্তিত্ব বা পরিবেশনের চিত্র পাওয়া যায় নি।পরে লাউঞ্জের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে ফুটেজে দেখা যায়, এইচটুওতে দিনভর সীসা বিক্রি করেছে কিন্তু কোনো একটি সংবাদের ভিত্তিতে হঠাৎ করেই তারা পরিবেশন বন্ধ করে দেয়।

ফুটেজ দেখে আবার শুরু হয় অভিযান। লাউঞ্জের রান্নাঘর থেকে ৭৫০ গ্রাম সীসা উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও সীসা খাওয়ার বিভিন্ন উপকরণ ও চার সেট হুক্কা জব্দ করা হয়।

খোরশিদ আলম বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ধানমন্ডি থানায় এইচটুও লাউঞ্জের মালিক ও ম্যানেজারসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। মালিক সাব্বির হাসান ও ম্যানেজার মো. জাহিদ হাসান পলাতক আছে। তাদের আইনের আওতায় আনতে ইতিমধ্যেই গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

নতুন আইনে সিসাকে মাদকদ্রব্যের ‘খ’ শ্রেণির তালিকায় রেখে সিসার সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, সিসা অর্থ বিভিন্ন ধরনের ভেষজের নির্যাস সহযোগে ০.২ শতাংশে ঊর্ধ্বে নিকোটিন এবং এসেন্স ক্যারামেল মিশ্রিত ফ্রুট স্লাইস সহযোগে তৈরি যে কোনো পদার্থ।

নতুন মাদক আইনে সিসার পরিমাণের ওপর তিন ধরনের শাস্তির (ন্যূনতম এক বছরের দণ্ড থেকে সর্বোচ্চ ১০ বছর) বিধান রাখা হয়েছে। এরমধ্যে মাদকদ্রব্যের পরিমাণ এক কেজি অথবা লিটার বা তার কম হলে অনূর্ধ্ব ১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড; মাদকদ্রব্যের পরিমাণ এক কেজি অথবা লিটারের বেশি এবং পাঁচ কেজি বা লিটারের কম হলে অনূর্ধ্ব ৫ বছর থেকে সর্বোচ্চ ৭ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড এবং পরিমাণ পাঁচ কেজি বা লিটারের বেশি হলে অনূর্ধ্ব ৫ বছর থেকে ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড বিধান রাখা হয়েছে।