বরিশাল প্রতিনিধি: বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলায় ধর্ষণ অভিযোগের মামলায় ছাত্রলীগের উপজেলা সভাপতি সুমন মোল্লাকে আটক করেছে পুলিশ। এই অভিযোগের পর বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক জরুরি সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক সংগঠন থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
রোববার বিকেলে বরিশাল অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে ধর্ষণের অভিযুক্ত আসামী সুমন মোল্লা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে সেলিমের প্রথম স্ত্রী রুমী ও একটি সন্তান রয়েছে। তারা গ্রামের বাড়িতে থাকেন। সেলিম চট্টগ্রামে অটোচালক। সেখানে সেলিম দ্বিতীয় বিয়ে করে। সেলিম দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে গ্রামের বাড়ীতে আসলে প্রথম স্ত্রী ওই বিয়ে মেনে নেয়নি।
সেলিমের প্রথম স্ত্রী ওই বিয়ে মেনে না নেওয়ায় সেলিম দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে সেলিমের নানা বাড়ীতে আশ্রয় নেয়। সেই বাড়ীর কাছে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সুমন মোল্লার বাড়ী। সেলিমের বিয়ের ঘটনায় সুমন মোল্লা সেলিমের প্রথম স্ত্রীর পক্ষ নেন। সুমন মোল্লার বক্তব্য সেলিমের পক্ষ নেন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। কিন্তু সুমন ও ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সাথে রাজনীতি নিয়ে পারিববারিক বিরোধ রয়েছে। এর জের ধরেই এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই রুহুল আমিন বলেছেন, বেতাল ক্লাবে সেলিমকে আটকে রেখে ক্লাবের পাশের বিধবা আনোয়ারার বাড়ীতে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। সেলিমের দ্বিতীয় স্ত্রী বাদী রুমিকে ধর্ষণেরর ঘটনা প্রমাণের জন্য শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
অভিযুক্ত সুমন মোল্লাকে রোববার রাতে বরিশাল নগরীর কালীবাড়ী রোড থেকে আটক করে পুলিশ। বানারীপাড়া থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন সেলিমের দুইটি বিয়ে নিয়ে বিরোধের কথা জানেননা বলে জানিয়েছেন।