রাজধানীর কুর্মিটোলায় ধর্ষণের শিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীকে দেখতে ওসিসিতে গিয়ে ঢাবির প্রো ভিসি শিক্ষা নাসরিন আহমেদ, প্রো ভিসি প্রশাসন আবদুস সামাদ এবং প্রক্টর গোলাম রাব্বানি বলেছেন: যা হয়েছে, তা জঘন্য।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ওই শিক্ষার্থীকে সব ধরনের লিগ্যাল সাপোর্ট দেয়া হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আইনের সহায়তা ছাড়াও ক্লিনিক্যাল মেন্টাল সাপোর্ট, মা বাবাকে অবহিত করা ও ঢাকায় আনাসহ ধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষার্থীকে সব ধরণের সহায়তা দেয়ার কথা জানায় কর্তৃপক্ষ।
এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শাহবাগ থানায় মামলা করেছে। আর মেয়েটির বাবা মামলা করেছেন কুর্মিটোলা থানায়। গুলশান থানাও তদারকিতে আছে।
ধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষার্থীর জন্য ফরেনসিক, মেডিসিন, গাইনি, সাইক্রিয়াটিস, কাজুয়ালিটিসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের চিকিৎসকদের নিয়ে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
গাইনির বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা: সালমা রউফকে প্রধান করে ৬ সদস্যের চিকিৎসকরা ইতোমধ্যে আলাদা করে ধর্ষণের শিকার মেয়েটিকে দেখে গেছেন।
সোমবার দুপুর ১টায় মেডিক্যাল বোর্ড বসবে। ওই শিক্ষার্থীকে সমন্বিত চিকিৎসা দেবেন তারা।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ কুর্মিটোলা এলাকার ওই ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে। একইসঙ্গে দোষীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে তারা।
এছাড়া সোমবার বেলা তিনটায় রাজু ভাস্কর্যের সামনে মহিলা পরিষদের প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।