চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ধর্ষণের শিকার নারী-শিশুর পুনর্বাসন-ক্ষতিপূরণে হাইকোর্টের রুল

ধর্ষণের শিকার নারী ও শিশুর পুনর্বাসনে নীতিমালা ও প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে যথাযথ ক্ষতিপূরণের কর্ম-পরিকল্পনা (স্কিম) তৈরি করতে সরকারকে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

এছাড়া এই রিটে উল্লেখ থাকা তিন শিশুকে কেন যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দেয়া হবে না এবং তাদের মেডিকেল রিপোর্টসহ সংশ্লিষ্ট কাগজ-পত্র কেন আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেয়া হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছেন।

স্বরাষ্ট্র সচিব, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ সচিব, জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থা (লিগ্যাল এইড)’র চেয়ারম্যান, পরিচালক, পুলিশের মহাপরিদর্শক, রংপুর, খুলনা মহানগর পুলিশের কমিশনারসহ ১৪ বিবাদিকে আগামী সাত দিনের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাই কোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুল হালিম। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী ইশরাত হাসান ও শায়লা জাহান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।

আজকের আদেশের বিষয়ে আইনজীবী আব্দুল হালিম বলেন, ‘রিট আবেদনে ধর্ষণের শিকার তিন শিশু ভিকটিমের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ওই তিনটি ঘটনাকে তুলে ধরে আদালতে বলেছি ধর্ষণের মামলা দায়ের, তদন্ত ও বিচার করেই দায় শেষ হয়ে যায় না। রাষ্ট্রের আরও দায় আছে। ধর্ষণের শিকার নারী-শিশুদের পুনর্বাসন করা, তাদের শারীরিক, মানসিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা,বিচারের ক্ষেত্রে সাহায্য-সহযোগিতা করা এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ দেওয়া, পুনর্বাসন করাও রাষ্ট্রের দায়িত্ব। এরপর আদালত শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছেন।’

‘নারী-শিশু নির্যাতন আইনে দায়ের করা ৯৭ শতাংশ মামলায় সাজা হয় না’ গণমাধ্যমে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন যুক্ত করে শিশু ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন চিলড্রেন চ্যারিটি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে গত ২ জানুয়ারি এই রিট আবেদনটি করা হয়।

এই রিট আবেদনে বলা হয়েছে, ধর্ষণের কারণে যেহেতু একজন নারী বা শিশুর সংবিধান স্বীকৃত জীবনের অধিকার ও আত্মমর্যাদার অধিকার লঙ্ঘিত হয় সুতরাং রাষ্ট্র তাকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণসহ পুনর্বাসন করতে বাধ্য।