দেশে অব্যাহতভাবে ধর্ষণের ঘটনা, ধর্ষণের পর হত্যা, ধর্ষনের সঙ্গে নিষ্ঠুরতা, ধর্ষণের শিকার নারী ও শিশুর প্রতি দোষ দেয়ার প্রবণতা বা ভিকটিম ব্লেইমিং এবং সামাজিক মাধ্যমে নানাধরণের কুরুচিকর মন্তব্য বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ) গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। সেইসাথে এমজেএফ দাবি করছে ভিকটিম ব্লেইমিং করাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার।
এমজেএফ মনে করে, একটার পর একটা নারী ও শিশু ধর্ষণের ঘটনা দেশবাসীকে খুবই ব্যথিত করছে এবং উদ্বেগের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। কারণ বিভিন্নধরণের ক্ষমতা বলয়ের কারণে ধর্ষণের সাথে জড়িতদের অনেককেই বিচারের আওতায় আনা যাচ্ছে না।
এমজেএফের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম এক বিবৃতিতে বলেছেন, “ধর্ষণের ঘটনার দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ায় ধষণের ঘটনা না থেমে বরং বেড়েই চলেছে। তাই আমরা সব ধর্ষণ মামলার দ্রুত বিচারের নিশ্চয়তা চাইছি। কলাবাগানে ও-লেভেলের মেয়েটিকে ধর্ষণ, ধর্ষণের আগে নির্যাতন এবং নিহত মেয়ে, তার স্কুল ও পরিবারের প্রতি নানাধরণের অভিযোগ আনায়, আমরা খুবই মর্মাহত। আমরা দেখেছি ধর্ষণের শিকার নারী ও শিশুর প্রতি দোষ দেয়ার ফলে প্রকৃত দোষীরা আস্কারা পায় এবং এইসব কাজে আরো উৎসাহিত বোধ করে।”
এমজেএফ তাদের পরিসংখ্যান সূত্রে বলেছে, বছরের পর বছর শিশু ও নারী নির্যাতন এবং ধর্ষণের ঘটনা বাড়ছেই। এমনকী করোনা চলাকালীন সাধারণ ছুটি চলাকালীন সময়েও নারী ও শিশুর প্রতি নির্যাতন থেমে ছিল না, বিশেষ করে পারিবারিক নির্যাতন। পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের প্রথম সপ্তাহেই ১১টি ধর্ষণের ঘটনা খবর পাওয়া গেছে সারাদেশে। অব্যাহত প্রতিবাদ, মৃত্যুদন্ডের বিধান থাকার পরেও কেন ধর্ষণের হার বাড়ছে? বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতা, নানাধরণের আর্থ-রাজনৈতিক-সামাজিক প্রভাব এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে আইনপ্রয়োগকারীর সংস্থার সদিচ্ছার অভাব এইজন্য দায়ী। তিনবছর আগে কলেজ ছাত্রী সোহাগী জাহান তনু ধর্ষণের শিকার হয়ে নিহত হওয়ার পর আরো অসংখ্য নারী ও শিশু এই ধর্ষণ ও হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছে।
এমজেএফ’র পক্ষ থেকে কলাবাগানে এবং এর আগে ও পরে সংঘটিত সকল ধর্ষণ ঘটনার দ্রুত বিচার দাবীর পাশাপাশি নিহতের শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে।