‘সৈন্যরা এখন থেকে বিদেশে যুদ্ধ অভিযানে যাবে’ জাপানের নিম্ন আদালতে পাশ হওয়া এই নতুন সামরিক আইনের বিরোধিতা করে রাস্তায় নেমেছে প্রায় লাখো জাপানবাসী। পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে নতুন ওই বিলের সম্ভাব্য চূড়ান্ত অনুমোদন সামনে রেখে দেশজুড়ে বড় ধরণের বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়েছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিভীষিকাময় ঘটনার পর এই প্রথম জাপানি সৈন্যদের বিদেশের মাটিতে গিয়ে যুদ্ধ করার বিধান তৈরি করলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী সিনবো আবে।
জাপানে পারমানবিক বোমা বিস্ফোরণের পর থেকে দেশটির সংবিধানে বলাছিলো, আত্মরক্ষার ছাড়া বিরোধ সমাধানে জাপান কখনই তার সামরিক বল প্রয়োগ করবে না।
ফুকুশিমা বিদ্যুৎকেন্দ্র বিধ্বস্ত হওয়ার পর ২০১২ সালে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের পর টোকিওতে রোববার সবচেয়ে বড় ধরনের বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। আয়োজকেরা জানান, এতে বিভিন্ন বয়সের প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার লোক অংশ নেন।
বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন ছাত্র ও তরুণেরা। বিক্ষোভকারীরা জাপানের শান্তিপূর্ণ সংবিধান রক্ষার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, ‘যুদ্ধের জন্য আইন নয়’। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সিনবো আবে বলছেন, জোট রক্ষার জন্য এই নীতির পরিবর্তনের প্রয়োজন আছে।
এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে চীন ও নর্থ কোরিয়ার সাথে সমুদ্রসীমা ও সীমান্ত বিরোধ নিয়ে সমস্যা মোকাবেলায় এ ধরণের উদ্যোগের চাপ আসছিলো।