চেয়ারম্যান পদে চার শতাধিক প্রার্থীর সাফল্যে দ্বিতীয় দফার ইউপি নির্বাচনেও দুই-তৃতীংয়াশেরও বেশি ইউনিয়নে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। ৬শ’ ৪৩টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে বিএনপি জয় পেয়েছে ৬১টিতে। অন্যান্য দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন শতাধিক ইউনিয়নে।
দলীয় প্রতীকে প্রথম ইউপি নির্বাচনের ২য় ধাপে ৬শ’ ৪৩টি ইউনিয়নে নির্বাচন হয়েছে। বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফল অনুযায়ী সব জেলায়ই সংখ্যাগরিষ্ঠ দল আওয়ামী লীগ। সরকারি দলের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন ৪শর বেশি ইউপিতে।
প্রথম দফার মতো এবারো দুই দলের বিদ্রোহী এবং অন্যান্য স্বতন্ত্র প্রার্থীরা শতাধিক ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড, মিরেরসরাইয়ের সবকটি ইউনিয়নেই বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। সন্দ্বীপেরও একটি ইউনিয়ন ছাড়া বাকীগুলো আওয়ামী লীগেরই।
কক্সবাজারের পেকুয়ায় তিনটিতে বিএনপি ২টিতে আওয়ামী লীগ ও দুটিতে স্বতন্ত্রী প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। কিশোরগঞ্জে ১১টি ইউপিতে জয় এসেছে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের। ৫টিতে বিজয়ী হয়েছে বিএনপি।
কুমিল্লায় ৯টি আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের। কুষ্টিয়ায় অনুষ্ঠিত দৌলতপুর ও ভেড়ামারা উপজেলার প্রায় সব ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থীরা।
গাজীপুরে ৭টির মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছে ৬টিতে। গোপালগঞ্জের প্রায় সব ইউনিয়ন পরিষদে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা।
চাঁদপুরের ১৮টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ১৫টিতে বিজয়ী হয়েছে আওয়ামী লীগ ৩টিতে বিএনপি। জামালপুর জয়পুরহাট ঝিনাইদহ টাঙ্গইল ঠাকুরগাঁওয়ে বেশীর ভাগ ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। একই অবস্থা দিনাজপুর নওগাঁ নীলফামারী নেত্রকোণা নোয়াখালি পাবনায়।
নরসিংদীতে একটি ইউনিয়নে বিএনপি প্রার্থী চেয়ারম্যান হয়েছেন। বাকী ১৪টিতে আওয়ামী লীগ। বগুড়ায় অনুষ্ঠিত ১৮টি ইউনিয়নের তিনটিতে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপি প্রার্থীরা।
সিলেট বিভাগের কয়েকটিতে বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ী হলেও বেশীর ভাগ বিজয় এসেছে আওয়ামী লীগ মনোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থীদের। ভোলায় ২য় দফার ৮টির মধ্যে ৭টি এবং প্রথম দফায় স্থগিত হওয়া ৪টির সব কটিতে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা।