দেশের বিচার বিভাগ ও প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে ফেসবুকে ‘অবমাননাকর’ মন্তব্যের জন্য দোষ স্বীকার করে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুবকে ক্ষমা করেছেন সর্বোচ্চ আদালত।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির ভার্চুয়াল আপিল বেঞ্চ রোববার এ বিষয়ে রায় ঘোষণা করেন।
সেসময় আপিল বিভাগে স্বশরীরে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব।
সর্বোচ্চ আদালতের দেয়া এ রায় নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল চ্যানেল অনলাইনকে বলেন, ‘আদালত রায়ে বলেছেন, যেহেতু কন্টেমপটনার (আইনজীবী মামুন মাহবুব) তার দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন। এবং আদালতকে নিশ্চয়তা দিয়েছেন যে, ভবিষ্যতে তিনি এ ধরনের অবমাননাকর কাজ থেকে বিরত থাকবেন ‘
‘‘এই বিবেচনায় এ মামলার পরবর্তী কার্যক্রম আর চলানো হবে না বলে সিদ্ধান্ত জানিয়ে মামলাটি নিষ্পত্তি করেছেন সর্বোচ্চ আদালত। তবে ভার্চুয়াল মাধ্যমে পরিচালিত এ মামলার যে ভিডিও রেকর্ডিং করা হয়েছে সেটি ভবিষ্যতের জন্য সংরক্ষণ করা হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।’’
আদালতের তলবে গত বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগে স্বশরীরে হাজির হয়ে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির ভার্চুয়াল আপিল বেঞ্চের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চান এই আইনজীবী।
সেদিন ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তার স্ত্রীও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সর্বোচ্চ আদালতের কাছে স্বামীর হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
এছাড়াও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে ক্ষমা চান সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিন ও সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
এই দুই আইনজীবী নেতা সেদিন সর্বোচ্চ আদালতকে বলেন, ‘এরপর কখনো আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব এ ধরনের কাজ করলে আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আইনজীবী মামুন মাহবুব নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ায় তাকে এবারের মত ক্ষমা করে দেয়ার জন্য গত বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ আদালতের কাছে অনুরোধ করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম আমীর-উল ইসলাম, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, এ জে মোহাম্মদ আলী, আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ আরো অনেকে।
আদালত সবার কথা শুনে এ বিষয়ে আদেশের জন্য আজ রোববার দিন ধার্য করেন।
গত ১২ আগস্ট প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ভার্চুয়াল আপিল বেঞ্চের বিচারকাজ চলার সময় অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুবের ফেসবুকে দেয়া ‘অবমাননাকর’ মন্তব্যের বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন।
আদালত আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুবকে ২০ আগস্ট সকাল সাড়ে নয়টায় আপিল বিভাগে উপস্থিত হয়ে ফেসবুকে করা তার মন্তব্যের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলেন।